দেবজিৎ মুখার্জি, উত্তর ২৪ পরগনা:
পরিবর্তন প্রকৃতির এমন এক নিয়ম যা কোনদিন এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। মানুষের জীবন হোক কি যুগ, সবকিছুই পাল্টাতে থাকে। এটা একবিংশ শতাব্দী। আগের চেয়ে মানুষ আরো উন্নত জীবনযাপন করে। বলা ভালো, জীবন এখন প্রায় হাতের মুঠোতেই এসে গেছে। প্রায় সবকিছুই এখন সহজে আয়ত্তে চলে আসে। এক কথায় বলতে গেলে, টেকনোলজিক্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট এই জেনারেশনের এক ক্যারেক্টারিস্টিক ফিচার, যা প্রতি মুহূর্তেই অনুভব করা যায়।
তবে প্রতিটা জেনারেশনে যেমন এই টেকনোলজিক্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট দেখা যায়, তেমনি তার জন্য দরকার পরে একটা স্তম্ভ, যা সকলকে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত করে তোলে। এখন এই সমাজের আনাচে-কানাচে রয়েছে সেই ধরনের একাধিক স্তম্ভ, যা প্রতিনিয়ত মানব সভ্যতার উন্নতির জন্য কাজ করে চলেছে। বলা ভালো, সমাজের যাতে ভালো হয়, তার জন্য অবদান রেখে চলেছে প্রত্যেকটা মুহূর্তে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ, বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে দফায় দফায় বৃষ্টি
এমনই এক স্তম্ভ স্বামী বিবেকানন্দ ইউনিভার্সিটি, যা এই জেনারেশনকে গড়ে তুলতে ২৪ ঘন্টা কাজ করে চলেছে। বলা বাহুল্য, এই প্রজন্ম যাতে আগামী দিনে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, তার জন্য সবরকমভাবে সাহায্য করে চলেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুরে অবস্থিত। বেশ বড় জায়গা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরি করা হয়েছে। সফর শুরু হয়েছে সেই সময়ে যখন গোটা পৃথিবী কোভিডের আতঙ্কে ভুগছিল। দেখতে দেখতে এই ইউনিভার্সিটি কাটিয়ে ফেলেছে পাঁচটা বছর। গড়ে তুলেছে নিজেদের এক আলাদা পরিচিতি।
স্বামী বিবেকানন্দ ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে অ্যানিমেশন, মাল্টিমিডিয়া, ম্যানুফ্যাকচারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে শুরু করে একাধিক কোর্স। রয়েছে স্টুডেন্টদের প্র্যাকটিকাল ট্রেনিংয়ের জন্য আধুনিক যন্ত্র সমৃদ্ধ ল্যাব। পাশাপাশি, পড়ুয়াদের সুবিধার্থে রয়েছে এক লাইব্রেরী যেখান থেকে তাঁরা নিজেদের কোর্স সংক্রান্ত বিভিন্ন বই পাবেন। এখানেই শেষ নয়, রয়েছে জিমও। এক কথায় বলতে গেলে, এই প্রজন্ম যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বাজারে নিজেদের সহজে টিকিয়ে রাখতে পারে, তার সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে। ইউনিভার্সিটির ছাত্র সংখ্যাও প্রচুর। বলা ভালো, এখানকার ছাত্রদের নিজেদের কোর্সের প্রতি আগ্রহ একেবারে চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন: কড়া পদক্ষেপ করল পুরসভা! প্রোমোটিংয়ের থাবায় মাইকেল মধূসূদনের বাড়ি
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পারিজাত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “আমরা যখন সফর শুরু করি তখন ২০২০ সাল। দেখতে দেখতে পাঁচ বছরে পা ফেলেছি। প্রথমে কোভিডের সময় অনলাইন ক্লাস হয়। কিন্তু শুধু অনলাইন ক্লাস হলে তো হবে না। প্র্যাকটিকালি সেখানোটাও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ছাত্রদের যা আগ্রহ, তা এখানকার প্রফেসরদের উৎসাহ দেয় আরো বেশি করে নলেজ শেয়ার করার। যেভাবে প্রতিনিয়ত লেখাপড়ার চিত্র পাল্টাচ্ছে, তাতে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী দিনে আরও নতুন যন্ত্র আনার।”