মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় আল আমিন মিশন স্কুলে ধুন্ধুমার। গভীর রাতে ঘুমন্ত শিক্ষকদের উপর নৃশংস হামলার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন মোট পাঁচজন শিক্ষক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ কয়েকজন ছাত্র মুখ ঢেকে হঠাৎই হস্টেলে ঢুকে পড়ে। তাদের হাতে ছিল উইকেট, রড, লাঠি। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়ে তারা ঘুমন্ত শিক্ষকদের বেধড়ক মারধর শুরু করে। মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন অনেকেই। আহতদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বেলডাঙা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
আরও পড়ুনঃ জেলে থেকে রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত জীবনকৃষ্ণ; নাম নেই বিজেপি বিধায়কের
আহত শিক্ষকদের মধ্যে লালগোলা এলাকার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন জানান, ঘুমন্ত অবস্থায় আচমকা হামলা হয়। ওরা মুখ ঢেকে এসে চরম মারধর করে। চোখে ও সারা শরীরে আঘাত রয়েছে। কোনও হুঁশ ছিল না মারধরের পর কারও। বলেন, ‘খেলাধুলোর সময় নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রদের মধ্যে অশান্তি হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে দশম শ্রেণির ছাত্ররা ক্ষোভে ফুঁসছিল। আমরা জানিয়েছিলাম, পরীক্ষা শেষ হলে নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রদের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে। কিন্তু এভাবে রাতে হামলা হবে, তা ভাবতেও পারিনি।’
শিক্ষকদের অভিযোগ, হামলার সময় দুষ্কৃতীরা স্কুলের সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট করে। শিক্ষকদের মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পুরো ঘটনার পিছনে দশম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে শিক্ষক মহলে। আহত পাঁচজন বর্তমানে চিকিৎসাধীন। তাঁরা জানিয়েছেন, এমন ঘটনার পর ভয় ও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। রাতে নিরাপত্তাহীনতা আরও বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬১০, আহত বহু! চলছে জীবিতদের খোঁজ ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে
এই হামলা ঘিরে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্কুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষকদের একাংশ। মুখ ঢাকা ছাত্ররা কীভাবে হোস্টেলের ভিতর ঢুকল এবং এতক্ষণ ধরে শিক্ষকদের উপর হামলা চালাল, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা।
স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও কিছু জানা যায়নি।



