বাড়ছে উদ্বেগ। সব কিছু উজাড় করে দিয়ে গ্রাম ছাড়ছেন বাসিন্দারা। জনমানসশূন্য হয়ে যাচ্ছে একের পর এক এলাকা। এই ছবি বাংলাদেশের। সেখানে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মাথা চাড়া দিয়েছে মৌলবাদ। যার বলি সাধারণ মানুষেরা। পরপর দু’দিন ধরে কমপক্ষে ১৪টি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে মৌলবাদীরা। অত্য়াচারে ঘরছাড়া হয়েছেন কত হিন্দু, এমনটাই অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ আজ নাগপঞ্চমী, নাগপঞ্চমী পালনের নেপথ্যে শ্রীকৃষ্ণ ও সমুদ্রমন্থন?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেছে বেছে এই হিন্দুদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে মৌলবাদীরা। ছাড়ছে মহিলা-শিশুদের। ভেঙে ফেলা হচ্ছে ঘর-বাড়ি। চলছে লুঠপাট।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনকে। শনিবার রাতে উত্তেজনা খবর ছড়িয়ে পড়ে। যা চলে টানা রবিবার পর্যন্ত। অবশেষে সেদিন বিকাল চারটা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সেনা। যার জেরে প্রশ্ন উঠছে একটা গ্রাম অশান্তিতে ছারখার হয়েছে, তারপরেও সেনা পৌঁছতে কেন এত দেরি হল? প্রশ্ন উঠছে, কেনই বা এই অশান্তি, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল?
আরও পড়ুনঃ মোবাইলে আসক্ত হয়ে গোপনে বিয়ে! শিক্ষাদফতরের রিপোর্টে উদ্বেগ
একদিকে যেমন মৌলবাদী ও ধর্মের ভিত্তিতে হামলার অভিযোগ তুলেছে একাংশ। অন্যদিকে, আর এক অংশের দাবি, এতে সাম্প্রদায়িক ইন্ধন রয়েছে। ওই গ্রামেরই এক কিশোরের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শনিবার রাতে সেই উত্তেজনার বশেই গঙ্গাচড়ায় ওই গ্রামে ঢুকে পরপর ১৪টি ঘর-বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। ইতিমধ্য়েই সেই নাবালককে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সম্মিলিত শিশু পুনর্বাসনকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে তাকে।