বিহারে মোট ভোটার ৭ কোটি ৪১ লক্ষ। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে ৫ বছরে ১ কোটি মানুষের কাজের সুযোগ করে দেবেন। এবার তারই পাল্টা প্রতিশ্রুতির পালা। অপেক্ষা ছিল বিরোধী জোটের নেতা তেজস্বী যাদব কী ঘোষণা করেন তার দিকে।
আরও পড়ুনঃ ‘সমস্ত ওষুধের পরীক্ষা নিশ্চিত করুন’, সিরাপকাণ্ডে রাজ্যগুলিকে কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের
বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীবারে তেজস্বী কথা দিলেন, ক্ষমতায় এলে বিহারের প্রতিটি পরিবারের একজন সরকারি চাকরি পাবেন। চুম্বকে এটা বোঝা যাচ্ছে, বেকারত্ব ও কর্মসংস্থান এবার বিহার ভোটের বড় ইস্যু।
এই প্রতিশ্রুতি আরজেডির নির্বাচনী প্রচারে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তেজস্বীর এই ঘোষণা রাজ্যের ভোটের সমীকরণে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য পরিষ্কার, বিহারের প্রতিটি পরিবারে অন্তত এক জনের হাতে হোক স্থায়ী কাজ। উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন বেকারত্ব কমবে।’
আরও পড়ুনঃ বিরল এক দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন জয়নগরের মানুষজন! হঠাৎ করেই উঁকি মারল এভারেস্ট
আগামী নভেম্বরেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। দুই দফায় ৬ ও ১১ নভেম্বর ভোট গ্রহণ হবে। আর গণনা হবে ১৪ নভেম্বর। ভোটের আগে এই প্রতিশ্রুতি ভোটারদের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি করেছে। বিশেষ করে চাকরির প্রস্তুতি যারা নিচ্ছেন, যুব সমাজের একটা বড় অংশের কাছে তেজস্বীর বার্তা ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্যের বেকারত্বের হার ও আর্থিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষিতে এই প্রতিশ্রুতি আরজেডির জন্য ‘গেম-চেঞ্জার’ হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। এটা পরিষ্কার যে নীতীশ কুমার গত ৫ বছরে বিহারে খুব একটা কাজের সুযোগ তৈরি করতে পারেননি। তা নিয়ে যুব সমাজের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। আরজেডি মনে করছেন, নীতীশ ও মোদী যেভাবে ১ কোটি কাজের সুযোগের কথা বলছেন, তা নির্বাচনী জুমলা বলেই ধরে নেবে মানুষ। কারণ, অতীতে মোদীও বছরে ২ কোটি কাজের সুযোগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাতেও লব়ডঙ্কা হয়েছিল। এখন দেখার বিষয়, তেজস্বীর ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি ও জনতা দল (ইউনাইটেড) কী কৌশল নেয়।