যশপাল সিং, ত্রিপুরা:
খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া থানাধীন জয়নগর এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের করা ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত দিলীপ সরকারকে আগরতলা থেকে গ্রেপ্তার করে খোয়াই আদালতে পেশ করেছে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: জাম্বনীতে ধর্মীয় শিকার নিয়ে সচেতনতা শিবির
তিনি কৃষি দপ্তরে আধিকারিক পদে কর্মরত ছিলেন কিন্তু বর্তমানে তিনি নেতাগিরিতেই বেশী সময় দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, অভিযুক্ত দিলীপ সরকারের সঙ্গে মাইগঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। নিয়মিত যাতায়াতের সূত্রে উভয়ের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ। অভিযোগ রয়েছে, সেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও গোপনে মোবাইলে ধারণ করেছিলেন দিলীপ সরকার। ঘটনায় নতুন মোড় নেয় যখন পঞ্চায়েত প্রধানের পরিবারের এক সদস্য — যিনি দিলীপ সরকারের বাড়িতে কাজ করতেন — সেই মোবাইল থেকে ভিডিও চুরি করে নিয়ে যায়। এরপর সেই ভিডিও ব্যবহার করে দিলীপ সরকারের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টাও হয় বলে দাবি স্থানীয় সূত্রের। সেই ভিডিও কীভাবে সংবাদমাধ্যমের হাতে পৌঁছায়, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। জানা গেছে, স্থানীয় সাংবাদিক নরেন চক্রবর্তীর হাতে ভিডিওটি পৌঁছায় এবং তিনি তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় এবং এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ওয়াকফ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে পুলিশের গাড়িতে আগুন, জঙ্গিপুরে ধুন্ধুমার
ঘটনার জেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন পঞ্চায়েত প্রধান। পরবর্তীতে এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার সহায়তায় খোয়াই পুলিশ সুপারের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। মামলাটি দ্রুত স্থানান্তরিত হয় তেলিয়ামুড়া থানায়, এবং তদন্তে নেমে পুলিশ দিলীপ সরকারকে গ্রেপ্তার করে। তবে এই ঘটনায় জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে। যদি উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক ইচ্ছাকৃত হয়ে থাকে, তাহলে ধর্ষণের অভিযোগ কতটা আইনসম্মত — সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। পাশাপাশি, গোপন ভিডিও ধারণ এবং তা ছড়িয়ে দেওয়ার মতো গোপনীয়তা ও সাইবার অপরাধ সম্পর্কিত আইনি বিষয়গুলিও সামনে আসছে। বর্তমানে দিলীপ সরকারের পাশাপাশি সাংবাদিক নরেন চক্রবর্তীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে এখন সকলের নজর তদন্তের ওপর।