দিলীপ মান্ডি, ঝাড়গ্রাম:
ঝাড়গ্রাম জেলা জাম্বনী পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে আসন্ন ধর্মীয় শিকার নিয়ে এক সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হল। সচেতনতা শিবিরটি সমিতির সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। আদিবাসী সাঁওতাল সমাজে প্রাচীনকাল থেকেই সামাজিক রীতি নীতি অনুযায়ী সেঁন্দরা বা শিকার উৎসব দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: ‘বিকাশরঞ্জনরা যা ইচ্ছে বলে যাচ্ছেন, আপনারা কী করছেন?’ মন্ত্রীদের উদ্দেশে মমতা
সেঁন্দরা শব্দ কথার অর্থ অনুসন্ধান বা অন্বেষণ করা। আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষজন বনদেবতাকে পূজিত করার পর আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষজন জঙ্গলে প্রবেশ করে। এবং নতুন প্রজন্মকে বিভিন্ন গাছ-গাছড়া , পাতা শেকড়ের কার্যকারিতা রং গুণ সম্পর্কে পরিচিত ঘটান। যাতে নতুন প্রজন্ম জানতে পারে কোন গাছ কোন পাতা , শেকড় কোন রোগের ওষুধ ও কোন কাজে ব্যবহৃত হয়। সাথে সাথে কোন গাছ জঙ্গলের কোন প্রান্তে অবস্থিত তার সঠিক অবস্থান ও নির্ণয় করেন। যাতে আগামী দিনে কোন মানুষ রোগে আক্রান্ত হলে কম সময়েও ওই জায়গায় পৌঁছে ওষুধটি সংগ্রহ করতে পারে। জাম্বনী থানার আইসি অভিজিৎ বসু মল্লিক বলেন যে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন আছে তার বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে আদিবাসী মানুষজনদের মধ্যে আলোচনা করা হয়। তাদেরকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
যাতে নিরীহ পশুদের ওপর কোন অত্যাচার না হয় এবং তাদের যাতে হত্যা না করা হয় এ বিষয়ে তিনি সবিস্তারে আলোচনা রাখেন।মানুষ এটা ভালোভাবে গ্ৰহন করেন। তারা এ বিষয়ে প্রশাসন ও বনদপ্তরকে সহযোগিতা করবেন। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জাম্বনী পঞ্চায়েত সমিতির আধিকারিক দেবব্রত জানা।জাম্বনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মধুসূদন মুর্মু,গিধনী বনাঞ্চলের রেঞ অফিসার গুরুদাস মুর্মু, আদিবাসী সাঁওতাল সমাজের সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ববৃন্দ, সমিতির বিভিন্ন অঞ্চলের প্রধান ও সমিতির অন্তর্গত বিভিন্ন আদিবাসী ক্লাবের কর্মকর্তারা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।