ভাঙড়ের পর সাঁইথিয়ার পালা। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে খুন হলেন শ্রীনিধিপুর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি পীযূষ ঘোষ। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ২ মহিলা-সহ আটক করা হয়েছে ৩ জনকে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
ভোর প্রায় ৪টে নাগাদ রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় তৃণমূল নেতার দেহ, পাশে রাখা ছিল তাঁর বাইক। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মাথার পেছনে গুলি করা হয় তাঁকে। গুলি মাথা ফুঁড়ে কপাল দিয়ে বেরিয়ে যায়।
আরও পরুনঃ WhatsApp-কে টক্কর! নতুন মেসেজিং অ্যাপ Bitchat
যে পরিস্থিতিতে তাঁর দেহ এবং রাস্তার পাশে বাইক পাওয়া গেছে, তাতে এই খুন কোনও পরিচিতের কাজ বলেই সন্দেহ পুলিশের। বাইক থামিয়ে কথা বলছিলেন ওই তৃণমূল নেতা, তখনই খুব কাছ থেকে মাথার পিছনে গুলি করা হয় তাঁকে।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কিছু ঘটনা (পরিবারের অভিযোগ, বালি সংক্রান্ত) নিয়ে বেশ চাপে ছিলেন পীযূষ। গতকাল রাত ১২টা নাগাদ কারও ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওই তৃণমূল নেতা। ৩টে নাগাদ বাড়িতে আসে খুনের খবর। প্রথমে দেহ উদ্ধার করার জন্য সাহায্য চেয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি, ক্ষোভ পরিবারের। তারপর স্থানীয়দের সাহায্যে তাঁর দেহ তুলে নিয়ে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে যায় পরিবার। ময়নাতদন্ত চলছে বলেও খবর।
পরিবার জানিয়েছে, এর আগে ভোটের সময় বাড়িতে চিরকুট পাঠিয়ে নেতা ও তাঁর ছেলেকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। সম্ভবত, সভাপতির পদ থেকে সরাতেই এই খুন, এমনটাই মনে করছে পরিবার।
মৃতের স্ত্রীর দাবি, ‘বারবার বলেছিলাম রাজনীতি থেকে সরে আসুক। দুই ছেলে নিয়ে ভয়ে আছি। ছেলের চাকরির ব্যবস্থা করা হোক।’
আরও পরুনঃ সমতলে ঘাটতি, পাহাড়ে রেকর্ড; উত্তরবঙ্গের অর্থনীতিতে আশা দেখাচ্ছে চা শিল্প
ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা, মহিলাঘটিত নাকি রাজনৈতিক কোনও উদ্দেশ্যে খুন হতে হল পীযূষকে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারান তৃণমূল নেতা রাজ্জাক খান। সামনেই, অর্থাৎ ২০২৬-এ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট। ইতিমধ্যেই ৩ দিনে ৩ তৃণমূল নেতাকর্মীর খুনের ঘটনা ঘটল রাজ্যে।