Tuesday, 4 November, 2025
4 November
HomeকলকাতাGreen Leafhopper: কল্পনা করা যায়? এত আলোতেও তারা ভ্যানিশ; শ্যামাপোকার ক্যালেন্ডার গুলিয়ে...

Green Leafhopper: কল্পনা করা যায়? এত আলোতেও তারা ভ্যানিশ; শ্যামাপোকার ক্যালেন্ডার গুলিয়ে গেল খামখেয়ালি আবহাওয়ায়

ক্যালেন্ডার এলোমেলো হয়ে গেল? পরবর্তী প্রজন্ম কি তবে শ্যামাপোকাকে জানবে শুধু বইয়ের পাতায় কিংবা গানের কলিতে?

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

কাশফুল ছাড়া দুর্গাপুজো কল্পনা করা যায়? যায় না। তেমনই কালীপুজোর সন্ধে যেন অপূর্ণ থেকে যায় শ্যামাপোকা না থাকলে! কালীপুজোর প্যান্ডেলেও বাজত আশা ভোঁসলের গান, কাচ পোকা, শ্যামা পোকা, পোকার নানান জাতি..।

আরও পড়ুনঃ মানিকতলায় তাণ্ডব! মুরারিপুকুরে চাঁদার জুলুমে রক্তাক্ত শিল্পী; প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা

একসময়ে লক্ষ্মীপুজো পেরোলেই সন্ধেবেলা ঘরে আলো জ্বালানো মানেই যুদ্ধ ঘোষণা! শহর-গ্রামের রাস্তা, ঘাটে, ঘরে ঝাঁকে ঝাঁকে শ্যামলা বর্ণের এই পোকার মধ্যে যেন আলোয় বসার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যেত! আলোর নেশায় ঝাঁপিয়ে পড়ত হাজার হাজার ‘গ্রিন লিফহপার’। তাদের ঠেকাতে বাড়ি জুড়ে নিমপাতা, দেবদারুর ডাল, টাঙানো মশারি- তবুও নিস্তার মিলত না! চপ, চাউমিন, খিচুড়ি— সবেতেই ওদের অনিচ্ছাকৃত উপস্থিতি ছিল অনিবার্য!

কিন্তু এখন? শহরের আলো জ্বলে, পুজোর ঢাক বাজে, কিন্তু ‘শ্যামা’র ছায়া নেই! কলকাতা থেকে শুরু করে শহরতলি, কোথাও আর আগের মতো দেখা যাচ্ছে না সেই আলোপাগল পোকার ঝাঁক। বেমালুম ভ্যানিশ হয়ে গেছে! তবে কি প্রকৃতির ক্যালেন্ডার এলোমেলো হয়ে গেল? পরবর্তী প্রজন্ম কি তবে শ্যামাপোকাকে জানবে শুধু বইয়ের পাতায় কিংবা গানের কলিতে?

বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের পর্যবেক্ষণ, “শ্যামাপোকা কমছে না, কিন্তু বাজির ধোঁয়া আর শব্দে ওরা প্রাণ হারাচ্ছে। ঘরের আলো পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই মরে যাচ্ছে।”

ধানগাছের রস খেয়েই বেঁচে থাকা এই ছোট পোকা আলোর প্রতি অদ্ভুতভাবে আকৃষ্ট। তবে জমিতে লাগামছাড়া কীটনাশকের ব্যবহার আর আবহাওয়ার উলটপালটে (Change of weather) সেই আলোকযাত্রা প্রায় স্তব্ধ হয়ে এসেছে।

আরও পড়ুনঃ দিকে দিকে মাতৃ আরাধনা, কালীঘাট 2 তারাপীঠ

প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলছেন, “একথা ঠিক, শহরে আগের মতো আর শ্যামাপোকা দেখা যায় না।
দূষণ আর কীটনাশক তার বড় কারণ হতে পারে। তাছাড়া আগে কালীপুজো হত নভেম্বরের শীতের মুখে, এখন সেটা অনেকটা এগিয়ে এসেছে,  এতে পোকাদের ক্যালেন্ডার গুলিয়ে যেতে পারে!”

পরিবেশবিদদের মতে, এই যুক্তি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সুভাষ দত্তর সংযোজন, “জীবজগত মানুষের চেয়ে অনেক বেশি সংবেদনশীল। ভূমিকম্পের আগেও ওরা টের পায়। ওদের সময়জ্ঞান নির্ভুল, কিন্তু মানুষ বানানো দূষণ, বাজির দাপট, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা-সব মিলিয়ে ওদের সংখ্যা কমছে। এটাই চিন্তার।”

শ্যামাপোকা হারিয়ে গেলে হয়তো পুজোর আলো আরও উজ্জ্বল লাগবে, কিন্তু তার সঙ্গে নিভে যাবে এক টুকরো শৈশব, এক সময়ের অচেনা নস্টালজিয়া। নয় কি?

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন