আবারও হতাশা গ্রাস করল মামলাকারীদের। কারণ সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে ফের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা।
২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্ট সরকারি কর্মীদের পক্ষে রায় দিয়েছিল। জানানো হয়েছিল, ডিএ রাজ্য সরকারের কর্মীদের অধিকার। কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে তা পাওয়ার যোগ্য। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। তবে সেখানেও ধাক্কা খেতে হয় রাজ্যকে (State Govt)। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, রাজ্যকে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মেটাতে হবে। তার জন্য ৬ সপ্তাহ সময়ও দিয়েছিল আদালত। কিন্তু রাজ্য আরও সময় চায়। এই আবহেই সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি চলছিল। মঙ্গলবার তা আবার পিছিয়ে গেল।
আরও পড়ুনঃ ফেসবুকে ভিডিয়ো বানানোর নেশা! চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র পল্লব নস্করের মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা
এই মামলার আগের শুনানিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বকেয়া ডিএ-র টাকা মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কত টাকা বকেয়া রয়েছে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কত টাকা প্রাপ্য তা হিসাব কষে বের করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্ট তা সরকারকে জানায়নি। সুতরাং তাদের আরও দু’মাস সময় দেওয়া হোক। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এখনও এই ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, দিল্লি কিংবা চেন্নাইয়ে কর্মরত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পেলে, রাজ্যের কর্মীরা কেন বঞ্চিত?
অগস্ট মাসেই সুপ্রিম কোর্টে সঞ্জয় কারোল ও প্রশান্ত মিশ্রর বেঞ্চে টানা কয়েকদিন ডিএ মামলার শুনানি হয়েছিল। তবে মাঝে বেশ কয়েকদিন বিরতির পর মঙ্গলবার বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে শুনানির তালিকায় ছিল এই মামলা। এর আগে গত ১২ তারিখের মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের পক্ষে ফের বক্তব্য পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিবল অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকার কারণে ওই দিন উপস্থিত থাকতে পারেননি। বিচারপতিরা তখন ২৬ অগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। কিন্তু এদিনও মামলার শুনানি হবে কিনা তা নিয়ে ধন্দ ছিল।
আরও পড়ুনঃ টেরাকোটা বিশ্বের দরবারে! বিশ্বমঞ্চে পাঁচমুড়ার টেরাকোটা
কেন? তার কারণ, এবারের শুনানিতে বেঞ্চের দ্বিতীয় বিচারপতির পরিবর্তন হয়েছে। প্রশান্ত মিশ্রর জায়গায় এসেছেন সন্দীপ মেহতা। যদিও তিনি এর আগে বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের সঙ্গে ডিএ মামলা শুনেছিলেন। কিন্তু বিচারপতি মিশ্রর মতো মামলার খুঁটিনাটি সম্পর্কে তাঁর ধারণা কম।