Monday, 16 June, 2025
16 June, 2025
Homeউত্তরবঙ্গNBSTC: NBSTC-র টিকিট ‘দুর্নীতি’, প্রতিবাদী যাত্রী আক্রান্ত

NBSTC: NBSTC-র টিকিট ‘দুর্নীতি’, প্রতিবাদী যাত্রী আক্রান্ত

দার্জিলিং ঘুরতে শিলিগুড়ি এসে সরকারি বাসের টিকিট বিক্রিতে দুর্নীতির প্রতিবাদ করে ব্যাপক মার খেতে হলো কোচবিহার এক বাসিন্দাকে।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:

দার্জিলিং ঘুরতে শিলিগুড়ি এসে সরকারি বাসের টিকিট বিক্রিতে দুর্নীতির প্রতিবাদ করে ব্যাপক মার খেতে হলো কোচবিহার এক বাসিন্দাকে। ঘটনায় অভিযোগের তীর উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের (এনবিএসটিসি) এক বাসচালক ও কন্ডাক্টারের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে শিলিগুড়ি জংশনে অবস্থিত তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ডের সিন্ডিকেট চলার অভিযোগ তুলেও প্রতিবাদে সরব হয়েছেন কোচবিহারের খাগড়াবাড়ির বাসিন্দা পোলেন দাস।

ঘটনার কথা শুনে বিষয়টিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়ে এনবিএসটিসি’র চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনার কথা আমার জানা ছিল না। এখনই শুনলাম। আমাদের দিক থেকে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ চেয়ারম্যান বিষয়টির খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন বলে এনবিএসটিসি সুত্রে খবর।

আরও পড়ুন: মিড-ডে মিলে চিকেন বিরিয়ানি! আনন্দ এ দিন চাপা পড়ে গেল বিরিয়ানির তৃপ্তির ঢেকুরে

ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার। সেদিন সকালে কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি বাসস্ট্যান্ডে আসেন পোলেন। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও সাত বছরের কন্যাও ছিলেন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও দার্জিলিং যাওয়ার জন্য বাসের টিকিট পাওয়া যায়নি। দুপুর দেড়টা নাগাদ দার্জিলিং যেতে একটি বাস এলে ড্রাইভার-কন্ডাক্টর এবং সিন্ডিকেটের লোকেরা লাইনের বাইরে থাকা লোকেদের নিয়ে বাস ভর্তি করে দেন।’

এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে পোলেনকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্ত্রী ও কন্যাকেও হেনস্থা করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। ঘুসি, কিল, লাথির পাশাপাশি মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পোলেনের। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘উপস্থিত ট্র্যাফিক পুলিশরা গোটা ঘটনা দেখলেও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসনেনি।’

আরও পড়ুন: “ভারত আজ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি,” বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

এরপর চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে যায় পরিবারটি। সেখানে মাথায় সেলাই–সহ প্রাথমিক চিকিৎসার পর পোলেনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সেদিনই ঘটনার বিবরণ জানিয়ে প্রধাননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বর্তমানে জলপাইগুড়িতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছেন তাঁরা। ঘটনায় এখনও যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন পেশায় ব্যবসায়ী এই ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনার পরও পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা বলতে পারব না।’ এ প্রসঙ্গে প্রধাননগর থানার আইসি বাসুদেব সরকার বলেন, ‘একটি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। কয়েকজন আসামীর নাম আমরা জানতে পেরেছি। তাঁদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।’

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন