সৌরভ দত্ত, নদীয়া:
নদীয়ার মায়াপুরে শ্রীচৈতন্য মঠে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও মহা ধুমধাম করে নবদ্বীপ ধাম পরিক্রমা এবং শ্রী গৌর জয়ন্তী মহোৎসব শুরু হয়েছে। এই ধাম পরিক্রমা, প্রভুপাদ শ্রীল ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর শুরু করেন ভক্তবৃন্দের মঙ্গল কামনায়। তারপর মঠাচার্য ভক্তিবিলাস তীর্থ গোস্বামী মহারাজ এরপর ভক্তিপ্রজ্ঞান যতি গোস্বামী মহারাজ এবং বর্তমানে শ্রীমদ্ ভক্তিস্বরূপ সন্ন্যাসী মহারাজের নেতৃত্বে এই বিশাল ধাম পরিক্রমা শুরু হয়েছে অধিবাস দিয়ে।
আরও পড়ুন: “খাদ্য প্রেমিক চোর”! শিলিগুড়িতে গ্রেফতার
১৫ মার্চ জগন্নাথ মিশ্রের আনন্দোৎসব উৎসবের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে বলে জানালেন নারায়ণ মহারাজ। এত ভক্তবৃন্দের সমাগম হয় কেন এই চৈতন্য মঠে তার ব্যাখ্যা করে বেনাপুরের পিন্টু মাইতি বলেন, গুরুদেবের সান্নিধ্য যিনি ভক্ত ও ভগবানের মিলন ঘটান। বাটানগরের এক মাতাজি বললেন, চৈতন্য মঠে এসে বিগ্রহের সঙ্গে গুরু বৈষ্ণবের দর্শন পান, ধামের ধুলো মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরে যাই। কলকাতার চৈতন্য রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তূর্য্যাশ্রমী মহারাজ জানান, সুষ্ঠভাবে ধাম পরিক্রমা সম্পন্ন হয় সেই কারণে সমস্ত মহারাজ, ব্রহ্মচারীবৃন্দকে বিভিন্ন কাজে প্রবচন, নাম সংকীর্তনে কাজ ভাগ করে দেওয়া থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন অরণ্য মহারাজ, বৈষ্ণব মহারাজ, জিতেন্দ্র মহারাজ, আচার্য মহারাজ,নিরীহ মহারাজ, পরমার্থী মহারাজ, হৃদয় প্রভু, কেশব মহারাজ। বাসস্থান ও প্রসাদের দায়িত্বে রয়েছেন উত্তম প্রভু।
আরও পড়ুন: প্রশাসনের জেদ বনাম খনি বিরোধিতার তেজ
১৪ই মার্চ শ্রী যোগপীঠের গৌর আবির্ভাব উৎসব হবে।উক্ত অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকেন ভক্তি কুমুদ পুরী মহারাজ। এই ধর্মসভা শুরু হয়েছিল ১৮৯৪ সালে। নবদ্বীপ ধাম প্রচারিণী সভার বিশেষত্ব আছে সভা শুরু হয় বিকেল ৩টেয়, সভাপতিত্ব করবেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি, সভায় বার্ষিক বিবরণী পেশ করা হয়। ভক্তিকুমুদ পুরী মহারাজ জানালেন, এ বছরও কর্মরত কোন হাইকোর্টের বিচারপতি ও প্রাক্তন বিচারপতি পার্থসখা দত্ত ও অশোক দাস অধিকারী অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। কয়েক হাজার ভক্ত ইতিমধ্যেই মঠে এসেছেন। সন্ন্যাসী মহারাজ জানান, প্রভুপাদ যা বলে গেছেন তা আমাদের মেনে চলতে হবে। শ্রী চৈতন্য মঠে সেবা করতে হবে, নবদ্বীপ ধাম প্রচারে উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি করতে হবে। প্রভুপাদ ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর জগৎকল্যাণের জন্য আদর্শ জীবনের শিক্ষা দিয়ে গেছেন। ধাম পরিক্রমায় “কৃষ্ণ বলো সঙ্গে চলো” এই বাণী উচ্চারিত হয় এবং পরিক্রমা এগোতে থাকে।