Sunday, 14 September, 2025
বাংলা কাউন্টডাউন টাইমার
বঙ্গবার্তা
14 September
বাংলা কাউন্টডাউন টাইমার
বঙ্গবার্তা
Homeদক্ষিণবঙ্গHooghly: বিরাট আর্থিক তছরূপ! অস্থায়ী কর্মচারীদের প্রতিমাসে বেতন দিতে নাজেহাল পুরসভার; অভিযোগ...

Hooghly: বিরাট আর্থিক তছরূপ! অস্থায়ী কর্মচারীদের প্রতিমাসে বেতন দিতে নাজেহাল পুরসভার; অভিযোগ হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার বিরুদ্ধে

সামনেই পুজো, তার আগে বোনাস কবে হবে এখনো ঠিক নেই।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার আর্থিক টানাটানি দীর্ঘদিন ধরে চলছে। প্রায় দুই হাজার অস্থায়ী কর্মচারীদের প্রতিমাসে বেতন দিতে নাজেহাল হতে হয় পুরো কর্তৃপক্ষকে। ঘেরাও-বিক্ষোভ কর্মবিরতি লেগেই থাকে। তারপর সামনেই পুজো, তার আগে বোনাস কবে হবে এখনো ঠিক নেই। এমন পরিস্থিতিতে বড়সড় আর্থিক তছরূপের অভিযোগ সামনে এল এই পুরসভা থেকে। যা নিয়ে শোরগোল পড়েছে।

আরও পড়ুনঃ ‘আমরা যুদ্ধের প্ল্যান করি না, জড়াইও না’, ওয়াশিংটনকে কড়া বার্তা চিনের

পুরসভার কর দফতরের এক অস্থায়ী কর্মচারির বিরুদ্ধে অভিযোগ, মিউটেশন করার জন্য যে অর্থ ব্যয় হয়, সেই পরিমাণ অর্থ জমা দেওয়ার পরও পুরসভার তহবিলে জমা পড়েনি। বিষয়টি নজরে আসতে পুরো কর্তৃপক্ষ ওই কর্মচারীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জানা যাচ্ছে, এরপর তিনি স্বীকার করে নেন, প্রায় ১৫ টি এরকম মিউটেশন তিনি করিয়ে দিয়েছেন। বস্তুত, এক-একটি মিউটেশনের ক্ষেত্রে কম করে ২৫-৩০ হাজার টাকা জমা পড়ে। সেই হিসাব দেখলে কয়েক লক্ষ টাকা আর্থিক তছরুপ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।

পুরো প্রধান অমিত রায় জানিয়েছেন, “এখনো পর্যন্ত জানা গিয়েছে এই কাজ একজনই করেছে। তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা থানায় এফআইআর করছি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে। এর সঙ্গে যুক্ত যে বা যাঁরা যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।”

পুরসভার কর্মচারীদের তৃণমূল পরিচালিত সংগঠনের সহ-সভাপতি অসীম অধিকারী বলেন,”প্রতিমাসে আমাদের বেতন নিয়ে টালবাহানা হয়। অথচ পুরসভার নিজস্ব তহবিলের যে টাকা জমা পড়ার কথা মিউটেশন এবং কর বাবদ দেখা যাচ্ছে সেই টাকা এইভাবে তছরুপ করা হচ্ছে।যে বা যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এটা আমাদের দাবি। একটা দফতর রয়েছে, তার একজন ইনচার্জ আছে। তারা কিছুই জানতে পারল না এই ঘটনা চলছে বিগত কয়েক মাস ধরে।”

আরও পড়ুনঃ “বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার গভীর বন্ধন”; সুশীলা কার্কিকে এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা মমতার

সিআইটিইউ পরিচালিত শ্রমিক সংগঠনের সদস্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,”বিষয়টা আমরাও শুনেছি এটা নিয়ে তদন্ত চলছে। আমরা পুরসভাকে বলেছি আপনারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আমরা সব ইউনিয়ন আপনাদের সঙ্গে আছি। কোনও ফাইল পাস হয়নি অথচ মিউটেশন হয়ে গেছে।”

হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার বেশ কিছু ব্যক্তি যারা কর দেননি,বকেয়া রয়েছে,কিন্তু তাদের মিউটেশন হয়ে গিয়েছে। হুগলি জেলা বিজেপির কার্যালয়ের কর দেওয়া হলেও আজ অবধি মিউটেশন হচ্ছে না। তৃণমূল পরিচালিত দুর্নীতিগ্রস্ত এক পুরসভা,এটাই বোঝা যাচ্ছে।” কর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক নিতিশ ঘোষ যদিও ক্যামেরা দেখে পালানোর চেষ্টা করেন।তিনি বলেন, “যা বলার পুর কর্তৃপক্ষ বলবে।”

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন