ভারত বনধের আওতায় রেলকে রাখা হয়নি। হাসপাতাল,অ্যাম্বুলেন্স এবং দমকলের মতো জরুরি পরিষেবাগুলিকেও এর বাইরে রাখা হয়েছে। রাজ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় সকাল থেকে বনধের আংশিক প্রভাব দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সব বিতর্কের ফুলস্টপ! বৈঠক শেষে পুরনো মেজাজে দিলীপ
শ্রম কোড বাতিল, সমকাজে সম বেতন-সহ বিভিন্ন দাবিতে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটের সমর্থনে বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন ধর্মঘটীরা। এদিন সকালে ধর্মঘট শুরু হতেই ধর্মঘটীরা রাস্তায় নামেন। বড়জোড়া বাজারে মিছিল করে তাঁরা হাজির হন বড়জোড়া চৌরাস্তা মোড়ে। সেখানে অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এই অবরোধের জেরে বাঁকুড়া দুর্গাপুর রাজ্য সড়কে প্রায় ২৫ মিনিট যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। পরে বড়জোড়া থানার পুলিশ অবরোধকারীদের হঠিয়ে দেয়।
ভারত বনধ সফল করতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে রাস্তায় নামলেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। যান চলাচল সচল রাখতে রাস্তায় নামল পুলিশও। ঘাটালের সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার পুলিশের সঙ্গে বচসা বাম কর্মী-সমর্থকদের। যান চলাচল সচল রাখতে রাস্তা থেকে বাম কর্মী-সমর্থকদের ঠেলে সরিয়ে দিতে দেখা গেল পুলিশকে।
আরও পড়ুন: গোটা পৃথিবী দাপাবে আগুনে দৈত্যরা! জাগছে আগ্নেয়গিরি
শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা বনধে সকাল থেকে মিশ্র সাড়া কোচবিহারে। স্বাভাবিক সরকারি পরিবহণ। পথে নেমেছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের বাস। তবে পথে নামেনি বেসরকারি পরিবহণের কোনও গাড়ি। অশান্তি আটকাতে পথে পুলিশ প্রশাসন সক্রিয়। বন্ধ দোকানপাট।
দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ফোরাম আজ (বুধবার) ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। প্রায় ২৫ কোটি কর্মী এই বনধে সামিল হবেন বলে সংগঠনগুলি জানিয়েছে। তবে বনধের আওতায় রেলকে রাখা হয়নি। হাসপাতাল,অ্যাম্বুলেন্স এবং দমকলের মতো জরুরি পরিষেবাগুলিকেও এর বাইরে রাখা হয়েছে। রাজ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় সকাল থেকে বনধের আংশিক প্রভাব দেখা গিয়েছে।