চাঁদ দেখতে যারা মুখিয়ে থাকেন, তাদের জন্য আজ বিশেষ দিন। কারণ, আজ রাতেই দেখা যাবে বছরের প্রথম পূর্ণচন্দ্র। জুন মাসের সুপার মুনকে বলা হয় ‘স্ট্রবেরি মুন।’ শুধু রূপে নয়, গুরুত্বও রয়েছে এর অনেক।
‘স্ট্রবেরি মুন’ নামটি এসেছে উত্তর আমেরিকার আদিবাসী আলগোনকুইন সম্প্রদায়ের কাছ থেকে। তাঁদের মতে, জুন মাসের এই সময়ে সামান্য কিছুক্ষণের জন্য স্ট্রবেরি ফল সংগ্রহের ঋতু শুরু হয়। সেকারণেই এই পূর্ণচন্দ্রের নাম রাখা হয়েছে ‘স্ট্রবেরি মুন।’ যদিও চাঁদটি কোনওভাবেই গোলাপি বা লালচে রঙের হয় না, কিন্তু এই নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গ্রীষ্মকালীন ফলের ঋতুর আগমনের বার্তা।
আরও পড়ুন: জ্বলল আগুন, রক্তাক্ত পুলিশ; দুই গোষ্ঠীর অশান্তিতে রণক্ষেত্র মহেশতলা
এই বছরের স্ট্রবেরি মুন বিশেষ। কারণ এটি একটি সুপারমুন অর্থাৎ, চাঁদ তার কক্ষপথে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে পৌঁছবে বুধবার রাতে, যাকে বলা হয় ‘পেরিজি।’ ফলে চাঁদকে অন্য পূর্ণিমায় দেখা চাঁদের তুলনায় ১৪ শতাংশ বড় ও অনেক উজ্জ্বল দেখাবে।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে আজ রাতের আকাশ পরিষ্কার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে চাঁদ দেখতে কোনও অসুবিধা হবে না।
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘার শৃঙ্গ থেকে বরফ উধাও! অবাক সবাই
এদিকে স্ট্রবেরি মুনের রয়েছে সাংস্কৃতিক এবং কৃষিভিত্তিক তাৎপর্যও। বহু সংস্কৃতিতে এই পূর্ণিমার চাঁদকে ধরা হয় ঋতু পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে। কেউ কেউ একে গ্রীষ্মের প্রাচুর্য, ফল ও উর্বরতার প্রতীকও মনে করেন। কৃষিজীবী সমাজে বহু আগে থেকেই চাঁদের এই পর্যায়কে চাষবাসের এক বিশেষ ছন্দের সূচনা হিসেবে দেখা হয়েছে।
আজ রাতে জ্যোতির্বিজ্ঞানী-সহ সকলে সাক্ষী থাকবেন এক অপূর্ব চাঁদের। আর চাঁদের আলোয় গা ভাসাতে এখনই ঠিক করে ফেলুন, কোথা থেকে দেখবেন বছরের প্রথম সুপারমুন বা স্ট্রবেরি মুন।