মহারাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম গর্ব শতাব্দী প্রাচীন ‘সর্বজনীন গণেশোৎসব’। এখন থেকে সেটি সরকারি ভাবে রাজ্য উৎসবের মর্যাদা পেল। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী অশীষ শেলার এই ঘোষণা করেন।
সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী মন্ত্রী জানিয়েছেন, “গণেশোৎসব শুধু উৎসব নয়, এটি মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতিক গৌরব ও পরিচয়ের প্রতীক। একশো বছরেরও পুরনো এই ঐতিহ্য মহারাষ্ট্রের আবেগের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে।”
আরও পড়ুন: বেগুন ১০০, লঙ্কা ২০০; বাজারে ছ্যাঁকা! দাম চড়ছে হু-হু করে
সেই ১৮৯৩ সালেই লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলক শুরু করেছিলেন সর্বজনীন গণেশোৎসবের ধারা। যার মূল সুর ছিল সামাজিক সংহতি, জাতীয়তাবোধ, ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রতি আত্মগর্ব এবং স্বাধীনতার চেতনা।
শেলার বলেন, “গণেশোৎসবের মতো ঐতিহ্যকে আইনি পথে আটকানোর একাধিক চেষ্টা হয়েছিল। কেউ কেউ আদালতে গিয়ে এই উৎসব বন্ধ করার দাবিও তুলেছিলেন। কিন্তু মহায়ুতি সরকার দ্রুত হস্তক্ষেপ করে সমস্ত বাধা দূর করেছে।”
প্লাস্টার অব প্যারিস দিয়ে তৈরি মূর্তির উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে শেলার বলেন, “পূর্ববর্তী সরকার কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ মেনে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল, কিন্তু বিকল্প কোনও বাস্তবসম্মত সমাধান দেয়নি।”
তবে বর্তমান সরকার রাজীব গান্ধী বিজ্ঞান মিশনের অধীনে কাকোদকর কমিটির একটি পরিবেশগত সমীক্ষা করায়। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব সেই রিপোর্ট মঞ্জুর করার পর আদালতের রায় অনুযায়ী এখন পপ মূর্তি তৈরি, প্রদর্শন ও বিক্রি বৈধ।
আরও পড়ুন: পিনরাই এর ঘুম ওড়াচ্ছে শশী; কেরলে কংগ্রেস জিতলে শশী তারুর ‘বেশি পছন্দের’ মুখ্যমন্ত্রী? সমীক্ষা বলছে
শেলার জানিয়েছেন, “পুণে, মুম্বই-সহ গোটা রাজ্যে বড় আকারের গণেশোৎসব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশি নিরাপত্তা, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং আর্থিক সহায়তার দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার।”
তিনি আরও আবেদন জানিয়েছেন, গণেশ মণ্ডলগুলি যেন তাঁদের থিমে দেশের সেনাবাহিনীকে সম্মান জানায়, সামাজিক বার্তা তুলে ধরে এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’, দেশের উন্নয়ন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে উপস্থাপন করে।
এবার ১০ দিনব্যাপী গণেশোৎসব শুরু হচ্ছে ২৭ আগস্ট থেকে। ঐতিহ্য ও আবেগের মিশেলে নতুন মর্যাদায় এবার মহারাষ্ট্রে পালিত হবে গণেশোৎসব, যা নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে।