২০০২ এর ভোটার লিস্টে নাম নেই প্রায় ৫০ টি পরিবারে। ঘটনাটি কেওটা গড় বাগানের। ৪ ঠা নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এস আই আর এর কাজ। বি এল ও রা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে ভোটারদের হাতে তুলে দিচ্ছে দুটি এনুমারেসন ফর্ম। সেই ফর্ম পূরণ করে একটি জমা দিতে হবে বিএলওদের হাতে। ওই ফর্মেই রয়েছে 2002 সালের একটি কলম। সেখানে ভোটারদের তথ্য দিতে হবে। এই নিয়েই এখন বেশিরভাগ ভোটাররা চিন্তায় পড়েছেন। সেই ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নিজের অথবা পরিবারের নাম আছে কিনা তা জানার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে ছুটছেন ভোটাররা।
আরও পড়ুনঃ ‘ঘরের ভিতর ঢুকে দেখি উলঙ্গ অবস্থায়…’, হুগলির তাঁতিশালে যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে এলাকায় এলাকায় খোলা হয়েছে সহায়তা কেন্দ্র। সেই কেন্দ্র থেকে ভোটারদের বিভিন্ন রকমের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এমনকি ২০০২ সালের তালিকায় নাম রয়েছে কিনা তাও খুঁজে বার করে তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এস আই আর প্রক্রিয়া শুরু হতেই মাথায় হাত পড়েছে হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের গড়বাগান এলাকার বাসিন্দাদের।
এনুমারেশন ফর্ম পূরণের জন্য তারা ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাদের নাম খুঁজতে গিয়েই চক্ষু চরক গাছে ওঠে। দেখেন ওই এলাকার কোন ভোটারেরই নাম নেই ২০০২ সালের তালিকায়। জানিয়ে এখন চিন্তাই পড়েছেন ওই এলাকায় বসবাসকারী ভোটাররা। কেওটা ত্রিকোণ পার্ক এলাকায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে সহায়তা কেন্দ্রে। এখন সেই কেন্দ্রে ভিড় জমাচ্ছেন ওই এলাকার ভোটাররা।
আরও পড়ুনঃ ২১ নম্বর আর এন মুখার্জি রোড, ঘিঞ্জি এলাকা, ধোঁয়ায় দৃশ্যমানতা শূন্য; ডালহৌসিতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড
গড় বাগান এলাকার ভোটাররা বলেন আমরা ২০০১ এ ভোট দিয়েছি, ২০০৪ সালে ও ভোট দিয়েছি। তারপর থেকে প্রতিবছরই আমরা ভোট দিচ্ছি। বর্তমানে যে তালিকা দেখে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হচ্ছে সেই তালিকাতে আমাদের নাম রয়েছে। তাহলে বুঝতে পারছি না কি করে ২০০২ সালের তালিকা থেকে আমাদের নাম বাদ পরল। জানিনা শেষ পর্যন্ত কি হবে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তারক বিশ্বাস বলেন। গড়বাগান এলাকার ভোটাররা ২০০১ ২০০৪ এ তারা ভোট দিয়েছে। এমনকি ২০২৫ এর তালিকাতেও তাদের নাম রয়েছে। কিন্তু যে সালের ভোটার তালিকা দেখে এসআইআর করা হচ্ছে সেই ২০০২ সালের তালিকায় ওই এলাকার মানুষদের নাম নেই। তবে তারা ওখানকার স্থায়ী বাসিন্দা। এমনকি সরকারি কর্মচারী রয়েছেন ওই এলাকায়। তিনি বলেন এটা বিজেপির চক্রান্ত কারণ বিজেপি তো আগেই বলেছে বহু মানুষের নাম বাদ যাবে।





