প্রতিবেশী নেপাল জ্বলছে ছাত্র-যুব আন্দোলনে। পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। একের পর এক মন্ত্রীর বাড়ি জ্বলে যাচ্ছে আগুনে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী প্রাণ হারিয়েছেন সেই আগুনেই। পথে নামা আমজনতার হাতে মার খাচ্ছেন সংসদ ও মন্ত্রীরা। দু’দিনের এই অশান্তির প্রভাব এসে পড়েছে কলকাতার সোনাগাছিতে।
আরও পড়ুনঃ মাঝরাতে হঠাৎ উত্তরকন্যায় মমতা, ছুটে এলেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা! নেপালে অশান্তির জেরে কী ঘটল?
এশিয়ার বৃহত্তম যৌনপল্লীর উল্লেখযোগ্য অংশের যৌনকর্মীই নেপালি। অবিনাশ কবিরাজ স্ট্রিট, দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রিট, ইমাম-বক্স লেন, সুরকি গলি— সর্বত্রই রয়েছে তাদের বসবাস। দেশে অস্থিরতার কারণে অনেকেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। টেলিফোনে লাইন মেলেনি, টাকা পাঠানোও বন্ধ। এখন দেশে ফেরার পথও বন্ধ। সীমান্ত সিল, বিমানবন্দরগুলিও বন্ধ। কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু করে গোটা নেপালের আকাশপথে উড়ান বাতিল। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কেউ জানেন না।
দুর্বার মহিলা সমিতি এবং ‘আমরা পদাতিক’— এই দুটি সংগঠন ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের কথায়, সোনাগাছির নেপালি দিদিরা ভীষণ উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। মোবাইল হাতে প্রতি মুহূর্তে খবর খুঁজছেন, খুঁজছেন পরিবারের খোঁজ। একই ছবি কালীঘাট, হাওড়া, হুগলি ও বন্দরের যৌনপল্লীগুলিতেও। তবে সব থেকে বেশি উদ্বেগে সোনাগাছির নেপালি যৌনকর্মীরাই।
আরও পড়ুনঃ ‘কঠোর নজরদারি চলবে’, রাস্তার দখল নিল সেনা
নেপালে সোমবার পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছেন ২০ জন। আন্দোলন আরও তীব্র হয়েছে মঙ্গলবার। সেনাবাহিনীর নির্দেশে পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিও ইস্তফা দিয়েছেন। পানিট্যাংকি সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হলেও, উত্তাল নেপালের আগুনের আঁচ ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে কলকাতার যৌনপল্লীগুলিতে। সোনাগাছির নেপালি যৌনকর্মীরা এখন একটাই প্রার্থনা করছেন— দেশে দ্রুত শান্তি ফিরুক, যাতে আবার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়, প্রয়োজনে ঘরেও ফেরা যায়।