Wednesday, 30 April, 2025
30 April, 2025
Homeরাজ্য'গা বাঁচিয়ে আর কতদিন চলবেন?', কেলগ কাণ্ডে কল্যাণের পর এবার সরব দেবাংশু

‘গা বাঁচিয়ে আর কতদিন চলবেন?’, কেলগ কাণ্ডে কল্যাণের পর এবার সরব দেবাংশু

দেবাংশু রাখঢাক না রেখে দলের সব জনপ্রতিনিধি এবং পদাধিকারীদের উদ্দেশেই ছুড়ে দিয়েছেন একাধিক প্রশ্ন।

গত সপ্তাহে অক্সফোর্ডের কেলগ কলেজে বক্তৃতার সময় আচমকা একাংশের প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে জানা যায়, সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে হেনস্থা করার চেষ্টা হয়েছিল। এ নিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ চলছেই। এবার এ বিষযে দলের জনপ্রতিনিধি, কর্মকর্তাদের দিকেই বড় প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য আইটি সেল ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য।

এর আগে এ বিষয়ে সরব হয়েছেন দলের প্রবীণ সাংসদ-আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । কল্যাণের নিশানায় অবশ্য ছিল দলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি। কল্যাণের কথায়, “ওদের আচরণে আমি খুশী নয়। দিদি কখন বলবে, বক্সী (সুব্রত বক্সী) কখন বলবে তখন মুভমেন্ট করবে, তা না হলে চুপ করে বসে থাকবে? আমরা যেভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে বড় হয়েছি, আজকে আর সেটা দেখতে পাচ্ছি না।” টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, “আমরা সব কলেজে বিক্ষোভ দেখিয়েছি।”

আরও পড়ুন: মহাযুদ্ধের পথে! ট্রাম্পের হুমকির পরই মিসাইল প্রস্তুত ইরানের

দেবাংশু অবশ্য রাখঢাক না রেখে দলের সব জনপ্রতিনিধি এবং পদাধিকারীদের উদ্দেশেই ছুড়ে দিয়েছেন একাধিক প্রশ্ন। তৃণমূলের রাজ্য আইটি সেল ইনচার্জের কথায়, “এই নেত্রীর জন্যেই আজ আমাকে, আপনাকে লোক চিনেছে, জিতিয়েছে। দল আপনাকে কঠিন সময়ে দেখেছে, এগিয়ে দিয়েছে। আপনারা কেন যুদ্ধের  সময় চুপ থাকেন? আপনারা কেন লড়াইয়ের সময় পড়ে পড়ে ঘুমোন? অসময়ে কোথায় হারিয়ে যান? এলাকায় একটা মিছিল বার করেন না কেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পোষ্ট করেন না কেন?”

তৃণমূলের অন্দরে এমন কথাও শোনা যায়, যে পদ পাওয়ার জন্য কেউ কেউ যতটা মরিয়া কাজের সময় তাদের ততটা আগ্রহ দেখা যায় না। দেবাংশুর পোস্টে উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গও। লিখেছেন, “পদের দাবি জানানোর সময় তো গলার জোরে গগন ভেদ করার জোগাড় হয়.. কিন্তু যুদ্ধের সময়? মৌনব্রত? সব ইস্যুতে দল কিংবা মন্ত্রীরা বলে দেবে, তারপর নামতে হবে? প্রতিবার উপর থেকে আসা কর্মসূচির অপেক্ষা করতে হবে? নেত্রীকে অসম্মান করলে গায়ে জ্বালা ধরে না? তখনও নির্দেশ আসার অপেক্ষা করতে হয়?”

আরও পড়ুন: চাঞ্চল্য কোচবিহারের দিনহাটায়; পুকুর থেকে উদ্ধার বস্তাবন্দি মানুষের মাথার খুলি ও দেহাংশ

কেন বেছে বেছে তাঁরা ক’জনই সব বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বিরোধীদের গালিগালাজা খাবেন, তা নিয়েও নিজের ক্ষোভ সামনে এনেছেন তৃণমূলের তরুণ নেতা। দেবাংশুর কথায়, “আমরা কজনই লড়ব শুধু? আমরা কজনই মুখ খুলব প্রতিবার? আমরাই গালাগাল খাব? আমাদেরও তো পরিবার আছে! কিন্তু আপনারা? গা বাঁচিয়েই যদি চলবেন তবে পঞ্চায়েতে, পৌরসভার, বিধানসভায়, লোকসভায় দাঁড়িয়েছিলেন কেন?”

কটাক্ষের সুরে এও লিখেছেন, “আপনাদের কাছে অনুরোধ, ঢাল, তরোয়াল না ধরুন, এবার থেকে অন্তত একটু মুখ খোলা প্র্যাকটিস করুন। রাস্তায়, মাঠে, মিডিয়ায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় যেখানেই হোক… প্লিজ। তারপর না হয় আপনারাই আবার কাউন্সিলর, কর্মাধ্যক্ষ, সভাপতি, বিধায়ক, সাংসদ হবেন..!”

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে শোরগোল তৈরি হয়েছে। এখন দেখার নেতৃত্বদের তরফে দেবাংশুর প্রশ্নের কী ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন