কুশল দাসগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
চলতি বছর ‘উষ্ণ’ বড়দিনের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। ক্রিসমাসের দিন রাজ্যে সেভাবে শীত অনুভূত হয়নি। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, বছর শেষের আগে ফের ‘কামব্যাক’ করতে চলেছে ঠাণ্ডা। এবার সেই নিয়েই বড় পূর্বাভাস দেওয়া হল।
দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলায় আপাতত কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। প্রত্যেকটি জেলা শুষ্কই থাকবে। তবে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমানের মতো জেলাগুলিতে সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা দিতে পারে।
রবিবার শহর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে শীতের আমেজ সেভাবে অনুভব করা যায়নি। তবে আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রায় ব্যাপক বদল না হলেও, মঙ্গলবার থেকে পারদপতন হতে শুরু করবে। বছরের শেষে তিলোত্তমার তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির নীচে নামতে পারে।
আরও পড়ুন: kalimpong: শীতের রাতে আগুন লাগল কালিম্পং এ পুড়ে গেল বেশ কয়েকটি বাড়ি
দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গেও বছরের শেষে শুষ্ক আবহাওয়াই থাকবে। শুধু দার্জিলিংয়ের পার্বত্য এলাকায় দু-এক পশলা বর্ষণ অথবা তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে শীতের আমেজ বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী বুধবার অবধি জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার দেখা মিলতে পারে।
আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস, উত্তর থেকে দক্ষিণ, বছর শেষের আগে রাজ্যে ফের ‘কামব্যাক’ করতে চলেছে শীত। বর্ষশেষ এবং নববর্ষের আবহে ভালোরকম শীতের আমেজ অনুভব করতে চলেছে রাজ্যবাসী। সকালের কুয়াশা এবং রাতের কমতে থাকা তাপমাত্রা, দুইয়ের প্রভাবে আরও বাড়বে শীতের প্রকোপ। ফলে বড়দিনটা ‘উষ্ণ’ হলেও, বর্ষশেষের আবহে ফের হিমেল পরশ ফিরে পেতে চলেছে রাজ্যবাসী।
আরও পড়ুন: Priyanka Neogi: নাইজেরিয়া থেকে বাংলাদেশ নাম ছড়াল বাঙালি কন্যার
আজ থেকে তাপমাত্রা কমবে শিলিগুড়িতে?
এখনো পর্যন্ত দেখা নেই ঠান্ডার, তাই হতাশ মানুষ হতাশ পর্যটকেরা। দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও আসছে না ঠান্ডা। শিলিগুড়িতে তাপমাত্রার দিনের বেলায় 14 থেকে 16 ডিগ্রির কাছাকাছি থাকছে। অন্যদিকে রাতে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও ডিসেম্বরের শেষে কই ঠান্ডা? আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে , মৌসুমী বায়ুর ঘূর্ণিবতের কারণে ঠান্ডা পড়ছে না। আর আকাশে মেঘ আছে সেই কারণেই ঠান্ডা নেই। কবে থেকে পড়তে পারে ঠান্ডা, আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে দু-একদিনের মধ্যেই ঠান্ডা পড়বে, তাপমাত্রা নেমে যাবে অনেকটাই। মানুষ বলছেন সেটাই হবে মঙ্গল। কারণ তাপমাত্রা না কমলে শীতের আমেজ আসবে কিভাবে? ডিসেম্বর মা শিলিগুড়িতে মজার মাস, মেলা থেকে খাওয়া-দাওয়া, সিনেমা সবই থাকে। কিন্তু ঠান্ডা না পড়লে সব কিছুই মাটি হয়ে যাচ্ছে। কবে থেকে পড়বে ঠান্ডা? জিজ্ঞাসা করছেন সাধারণ মানুষ, ঠান্ডা পড়লেই তো শিলিগুড়িতে থাকবার আসল মজা বোঝা যাবে। মানুষ তো এটাই চাইছেন।