তিনি ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষিকা। গড়িয়ার নামী দীনবন্ধু অ্যানড্রুজ কলেজে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত। আর তাঁর বিরুদ্ধেই উঠল ‘ঘৃণ্য’ অভিযোগ। নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে সোমবার ওই অধ্যাপিকাকে গ্রেফতার করল সিঁথি থানার পুলিশ। কিন্তু কেন এমন কাজ করতে হল তাঁকে? গোটা ঘটনায় হতবাক খোদ তদন্তকারীরাও। অভিযুক্তের মোটিভ বুঝতেই শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ।
আরও পড়ুনঃ জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন ‘আরও সাশ্রয়’; পুরনো স্টকের পণ্যই বিক্রি
এই ঘটনায় মোট তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যথাক্রমে, অধ্যাপিকা অরুণিমা চন্দ, অনুষ্কা চন্দ চৌধুরী এবং অনুপভা চন্দ। কসবা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া আর দু’জন অধ্যাপিকারই সন্তান ও ভাই। সোমবারই তাদের আদালতে পেশ করবে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অপহৃত ওই নাবালিকা দমদম মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন চাতাল এলাকার বাসিন্দা। গত ১৯ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। পরিবারের লোকজন দিনভর খুঁজেও তাকে না পেলে স্থানীয় সিঁথি থানাতেই একটি নিখোঁজ মামলা দায়ের করেন। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। স্থানীয় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। সেই থেকেই মিলে যায় সমাধান সূত্র।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগে সময়ের অভাবে স্যালোঁয় যেতে পারছেন না? বানিয়ে নিন এই সুগার ওয়াক্স
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই নাবালিকাকে ডাব খাওয়ানোর প্রলোভনে অপহরণ করেন অরুণিমার মেয়ে অনুষ্কা। সেই সময় ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত অধ্যাপিকা।কিন্তু তাঁকে কোনও রকম প্রতিরোধ করতে দেখা যায় না। এরপর আরও বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তিন অভিযুক্তের গতিবিধির উপর নজরদারি চালান তদন্তকারীরা। সিসিটিভি মাধ্যমেই তাঁরা দেখেন, মেট্রোতে চাপিয়ে ওই নাবালিকা গড়িয়াতে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যান অভিযুক্ত। আটকে রাখেন সেখানেই। এদিন সকালে অভিযান চালিয়ে অপহৃত নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার অভিযুক্তরা।