Tuesday, 14 October, 2025
14 October
Homeউত্তরবঙ্গCooch Behar: উমার 'ভান্ডানি' রূপ! একাদশী তিথিতে অন্য দেবী বন্দনায় মেতে...

Cooch Behar: উমার ‘ভান্ডানি’ রূপ! একাদশী তিথিতে অন্য দেবী বন্দনায় মেতে উঠবে রাজবংশী পরিবার

দশমীর পর প্রতিমা বিসর্জনের সময় দেবী শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে যাত্রা শুরু করলেও ক্লান্তি দূর করার জন্য চাষির ঘরে ভান্ডানি রূপে কিছুদিন বিশ্রাম নেন।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

সোমেন দত্ত, কোচবিহারঃ

আজ দশমী। সিঁদুর খেলা, মিষ্টিমুখ, কোলাকুলি, রীতি মেনে মা-কে বিদায় জানানো সময়। তবে রাজবংশী সমাজের বিশেষ আচার এক অনন্য আবেগের রঙ ছড়ায়। দশমীর (Dashami) পর দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের পরও উত্তর অঞ্চলের চাষি পরিবারগুলোতে মা ভান্ডানি রূপে কয়েকদিন বিশ্রাম নেন।

আরও পড়ুনঃ ধস নামতে পারে, আসতে পারে হড়পা বান! সতর্ক করা হল পর্যটকদের

তিস্তা ও তোর্সা নদীর তীর বরাবর এই আচার বহু প্রজন্ম ধরে চলে আসছে। বিশ্বাস অনুযায়ী, একাদশী তিথি থেকে শুরু করে রাজবংশী চাষি পরিবারগুলো শস্যের সফলতা, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করেন।

উত্তরের রাজবংশী সমাজে ভান্ডানি দেবী উমার এক ভিন্ন রূপ হিসেবে বেশি পরিচিত। অনেকেই তাঁকে ‘বন দুর্গা’ বলেও উল্লেখ করেন। বিভিন্ন গল্পের মাধ্যমে এই আচার প্রচলিত হয়েছে। এক কাহিনিতে বলা হয়, দশমীর পর প্রতিমা বিসর্জনের সময় দেবী শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে যাত্রা শুরু করলেও ক্লান্তি দূর করার জন্য চাষির ঘরে ভান্ডানি রূপে কিছুদিন বিশ্রাম নেন।

অন্য কাহিনি অনুযায়ী, ভান্ডানি মূলত দেবীর মালপত্র দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। কোচবিহারের রাজবাড়ি থেকে পুজোর পর ফেরার পথে অসুস্থ হওয়ায়, তিনি কয়েকদিন চাষির পরিবারের ঘরে বিশ্রাম নেন এবং দেবীর সঙ্গে কৈলাসে ফেরেননি।

যদিও গবেষকদের একাংশের মত, ভান্ডানি দুর্গা নন। তিনি শস্য ও প্রাচুর্যের প্রতীক। তবে এখনও কোথাও ভান্ডানিকে দুর্গা, বন দুর্গা হিসেবে কল্পনা করা হয়।

আরও পড়ুনঃ চলছে সিঁদুর খেলা, চোখের জলে উমা বিদায়

রাজবংশী চাষি পরিবাররা কখনও একাদশী থেকে তিন দিনের মধ্যে, আবার কখনও লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন দেবীর কাছে শস্য রক্ষা ও পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন। ময়নাগুড়ি, গাবুরবাড়ি, খাসিমোচরা, মাধবডাঙা, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর এবং শিলিগুড়ির বিভিন্ন গ্রামে এই পুজোর আয়োজন হয়।

দশমীর রাতে পুরোহিতরা দুধ, দই, চিনি ও বাতাসায় সাজিয়ে দেবীর নৈবেদ্য দেন এবং একাদশীর ভোরে পুজো শেষ হয়। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি মণ্ডপে ভক্ত ও পরিবারের সদস্যদের ভিড় উপচে পড়ে। দশমীতে মায়ের বিদায়ের বিষাদের সুর শোনা যায়, সেখানে চাষি পরিবারগুলি অন্য উৎসবে মেতে ওঠে।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন