কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
সপ্তাহের শুরুতেই ফের তেতে উঠল বিধানসভা। এদিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ই বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে তা আরও বড় আকার নেয়। পদ্ম বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি কী করেন আমার সব জানা আছে’। সেকথা শুনে প্রতিবাদ করে ওঠেন গেরুয়া ব্রিগেডের আরেক বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
বিধানসভায় এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত ছিলেন মমতা। কেন্দ্রীয় সরকার কেন একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে সেই বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ই একটি মন্তব্য করেন বিজেপি বিধায়ক শিখা। সেকথা শুনে ভাষণ থামিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি কী করেন আমার সব জানা আছে’।
আরও পড়ুন: রেডি রাখুন ছাতা! জারি সতর্কতা; দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি-ঝড়ের তোলপাড়
মমতা একথা বলতেই পাল্টা প্রতিবাদ করেন পদ্ম বিধায়ক শঙ্কর। দাবি করেন, কোনও বিধায়ক যদি কোনও প্রশ্ন করেন তাহলেই ব্যক্তিগত আক্রমণ শানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর পদ্ম বিধায়করা বিক্ষোভ শুরু করেন। শঙ্করের উদ্দেশে পাল্টা মমতা বলেন, ‘পুরসভা নির্বাচনে জয়ী হতে পারেন না, আবার কথা!’
একথা শুনে বিজেপি বিধায়কের জবাব আসে, ‘আপনি কম্পার্টমেন্ট মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর কাছে হেরেছেন’। এরপরেই বিধানসভায় শুরু হয় স্লোগান, পাল্টা স্লোগান। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি সাময়িক শান্ত হয়। নিজেদের আসনে বসেন পদ্ম বিধায়করা।
এদিন আবার পদ্ম শিবিরের তরফ থেকে বিধানসভায় একটি মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ও যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি সম্বন্ধিত বিষয়ে আলোচনার দাবি জানায় বিজেপি। তবে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তা বাতিল করে দেন। বলা হয়, এটি বিচারাধীন বিষয়। সেই জন্য এই বিষয়ে বিধানসভায় আলোচনা করা যাবে না। এরপর আবার তেতে ওঠে রাজ্য বিধানসভা। বিক্ষোভ, স্লোগান শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ‘আগে জিতে আসুন…’, তোপ মমতার
এই আবহে বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাওকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। শঙ্কর ঘোষকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়। এরপর বিধানসভার সিঁড়িতে বসে বিক্ষোভ দেখান পদ্ম বিধায়করা।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিনে একাধিক ইস্যুতে তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য বিধানসভা। সোমবার ফের একবার সেই দৃশ্য দেখা যায়। বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে একটি মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাল্টা প্রতিবাদ করেন শঙ্কর ঘোষ। এরপর মুখ্যমন্ত্রী শঙ্করকে নিশানা করতেই পাল্টা দেন বিজেপি বিধায়ক।