দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বকেয়া ডিএ মামলায় সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন সরকারি কর্মীরা। গত ১৬ মে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে রাজ্য সরকারকে ৬ সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশের পর থেকেই ডিএ-র অংশ হাতে পেতে মরিয়া রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী রাজ্যকে এই ডিএ-র অংশ মেটাতে হবে বলে সুপ্রিম নির্দেশ। তবে শোনা যাচ্ছিল এই রুল বদল করার দাবি জানিয়ে আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছিল সরকার। এরই মাঝে এই প্রসঙ্গে বড় কথা বলে দিলেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ-এর সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: বাংলায় কি বামই ভরসা? অথচ ‘চাকরি খাওয়া’র অভিযোগ এনেছিলেন মমতা
মলয়বাবু বলেন, সরকার যদি রুল বদলের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কোনও আবেদন করে থাকে, তাহলে নিয়ম মতো সেই সংক্রান্ত আবেদনের একটি কপি মামলাকারীদের পাওয়ার কথা। তবে সেই ধরনের কোনও নথি এখনও তারা পাননি বলেই দাবি করেছেন ডিএ মামলাকারী সংগঠনের নেতা।
তিনি বলেন, রাজ্য সরকার যদি সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্ধারিত ছয় সপ্তাহের মধ্যে ডিএ পরিশোধ না করে, তাহলে কনফেডারেশন মুখ্য সচিব এবং অর্থ সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করবে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র অংশ মেটাতে বলেছে। হিসেব বলছে ২৭ জুনের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া টাকা রাজ্যকে মিটিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ জুন মাসেই রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জলের তলায় একাধিক সেতু! ফুঁসছে একের পর এক নদী
জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ’র পরিমাণ ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। তার ২৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে মিটিয়ে দিতে হবে চলতি মাসের মধ্যেই। একাধিক সূত্র বলছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র অংশ মেটাতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নিলামে ৪০০০ কোটি টাকার ঋণ তুলেছে রাজ্য সরকার। সেই ঋণ দিয়ে ডিএ মেটানো হতে পারে বলে একাধিক সূত্রে দাবি করা হচ্ছে।