বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশ চিনে অদ্ভূত একটা ব্যবসা রয়েছে। এই শিল্পের বাজার আনুমানিক ৬.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৫৮ হাজার কোটি টাকা। এই শিল্প হল গাধার ব্যবসা। এতদিন এই কাজে চিন নিজের দেশের গাধা ব্যবহার করত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিনে হু হু করে কমেছে গাধার সংখ্যা। অন্যদিকে, পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা মানুষের চেয়ে বেশি। ফলে, বর্তমানে পাকিস্তান প্রচুর গাধা পাঠিয়ে দেয় চিনে।
আরও পড়ুন: দায়িত্বে রবিশঙ্কর প্রসাদ, সভাপতি নির্বাচনের ডঙ্কা বেজে গেল রাজ্য বিজেপিতে
গাধার চামড়া দিয়ে চিন ‘এজিয়াও’ নামের একটা ওষুধ তৈরি করে। বিশ্বাস করা হয় এই ওষুধের নাকি একাধিক সুস্বাস্থ্য গুণ রয়েছে। এই ওষুধ নাকি মহিলাদের উর্বরতা বৃদ্ধি করতে, রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে ও বার্ধক্য আটকাতে সহায়তা করে। গত কয়েক বছরে এই ওষুধের চাহিদা বেড়েছে হু হু করে। আর সেই সঙ্গে বেড়েছে চিনে অবৈধভাবে গাধা পাচার।
এই ওষুধের কারণে চিনে কমেছে গাধার সংখ্যা। FAO (জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা)-এর তথ্য অনুযায়ী গত ২ দশকে চিনে গাধার সংখ্যা কমেছে প্রায় ৭৬ শতাংশ। আর তারপরই চিনের সরকার পাকিস্তান থেকে গাধা আমদানি করা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: আজ বিকেলবেলায় খেতেই হবে পাঁপড়ভাজা আর জিলিপি! এমন খাওয়ার চল শুরু হল কীভাবে ?
ভারত সহ একাধিক দেশ গাধা রফতানি ও হত্যা করার নিয়মে কঠোরতা নিয়ে এসেছে। অনেক আফ্রিকান দেশও এই নিষ্ঠুর ব্যবসা বন্ধে আইন তৈরি করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন চলতে থাকলে আগামীতে গাধা বিরল প্রজাতির তালিকায় চলে আসতে পারে।