পুজো আসতে হাতে আর মাত্র এক মাস। সুতরাং উৎসবের দিনগুলোয় ‘সখার প্রেমে অলক্ষ্য প্রাণের অমূল্য হেমে’ সেজে ওঠার অর্থাৎ ত্বকচর্চা, কেশচর্চার মোক্ষম সময় এটাই। অপেক্ষা না করে এখন থেকেই ত্বকচর্চা শুরু করে দিন। তবে বাজারচলতি প্রসাধনীদ্রব্য দিয়ে নয়, বরং বাড়িতেই ফল দিয়ে নিয়ম করে ফ্রুট ফেসিয়াল করুন। পার্লারের জন্য গাঁটের কড়িও খসবে না, আবার ভিড়ে লাইনও দিতে হবে না।
ফ্রুট ফেসিয়াল যেমন ত্বককে পুষ্টি জোগায়, তেমনই জেল্লাদারও করে তোলে। আর এই ত্বকচর্চার জন্য পুজোর আগে পার্লারে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ না করলেও অসুবিধে নেই। শুধুমাত্র ফল দিয়েই হবে কেল্লাফতে। পেঁপে, কলা, কমলালেবু, বেদানা- এই ফলগুলি কিন্তু ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
আরও পড়ুনঃ বাড়বে হু হু করে…! জীবন থেকে বাদ দিন ‘এই’ ২ জিনিস
উল্লেখ্য, ফ্রুট ফেসিয়াল করার আগে সবার প্রথমে স্ক্রাবিং দরকার। টক দইয়ের সঙ্গে ওটস মিক্সারে পেস্ট করে নিয়ে তাতে মধু দিন। সেটা মুখে, গলায়, কাঁধে লাগিয়ে মিনিট পনেরো রেখে হালকা শুকোতে দিন। এরপর ইষদুষ্ণ জল দিয়ে সার্কুলার মোশনে আসতে আসতে শুষ্ক চামড়ার জায়গাটা ঘষুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
এবার ফ্রুট ফেসিয়ালের পালা। বেদানার রসের সঙ্গে ময়দা, মধু মিশিয়ে ফেস মাস্ক তৈরি করুন। দেখবেন ত্বক ঝকঝকে হয়ে উঠবে। যাঁদের শুষ্ক ত্বকের সমস্যা রয়েছে তাঁরা অবশ্যই ব্যবহার করুন কলা। কলার মধ্যে ভিটামিন কে, সি, ই, ফাইবার রয়েছে। যা ত্বকের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। একটি কলা চটকে নিয়ে সারা মুখে ভালো করে মেখে নিন। একটু শুকিয়ে টান ধরে এলে ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুনঃ হাতে ২০ মিনিট সময়! হেঁশেলে মুগ-মুসুর না থাকলেও চিন্তা নেই; গরম ভাতে ‘আলুর ডাল’ অমৃত
আরেকটি ফ্রুট ফেসিয়ালও দারুণ কার্যকরী। কীভাবে এই ফেসিয়াল করবেন, তাই তো? তাহলে জেনে নিন। পাকা পেঁপে চটকে নিয়ে তার মধ্যে মধু মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ রেখে হালকা উষ্ণজলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বক ঝকঝকে হয়ে উঠবে। পুজোর আগে সপ্তাহে অন্তত দিন দুয়েক সময় করে করুন। তাহলেই দেখবেন প্যান্ডেলে আপনিই হয়ে উঠবেন অনন্যা। ত্বকের লাবণ্য বাড়াতে দিন দুয়েক অন্তর টম্যাটোর রসও লাগাতে পারেন। পনোরো মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কাঁচা দুধের সঙ্গে বেসনের ফেসপ্যাকও খুব উপকারী।