সূর্য্যকান্ত চৌধুরী, বাঁকুড়াঃ
প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে বিডিও-সহ সরকারি আধিকারিকদের নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ। লাথি মেরে বিডিও অফিসের দরজা ভেঙে ফেলার হুঁশিয়ারি পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক রাজনৈতিক চাপানউতোর জেলার রাজনৈতিক মহলে। কড়া সমালোচনা তৃণমূলের। “সাদা খাতা জমা দিয়ে বিডিও হয়েছেন। মানুষের জন্য কাজ করেন না।” ঠিক এরপরই অশালীন ভাষায় তীব্র আক্রমণ। ওন্দা ব্লকের বিডিও মোশারফ হোসেনকে প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে এ ভাষাতেই আক্রমণ বাঁকুড়ার ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা অঞ্জন নাগ চৌধুরীর। এখানেই না থেমে ওই বিজেপি নেতা বলেন, এরপর যেদিন যাব লাথ মেরে বিডিওর দরজা ভেঙে দেব। মঞ্চে থেকে বিরোধী দলনেতার এহেন মন্তব্যকে সমর্থনও জানাতে দেখা যায় ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখাকেও।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহারে প্রাণকেন্দ্র সাগরদিঘি থেকে ভেসে উঠল দেহ
রাজ্য সরকারের লাগামছাড়া দুর্নীতি ও চাকরি চুরির প্রতিবাদে এদিন বাঁকুড়ার ওন্দায় ধিক্কার মিছিল করে বিজেপি। মিছিল শেষে ওন্দা বাসস্ট্যান্ডে একটি পথসভা হয়। সেই পথসভায় হাজির ছিলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা ও সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামিও। ওই মঞ্চ থেকেই পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা অঞ্জন নাগ চৌধুরী ওন্দা ব্লকের বিডিও মোসারফ হোসেন, ওই ব্লকের জয়েন্ট বিডিও ও তৃণমূল পরিচালিত ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে তোপের পর তোপ দাগতে থাকেন। অঞ্জন নাগ চৌধুরী বলেন, ওন্দার যে বিডিও আছেন তিনি WBCS পাশ করে আসেননি। তিনি ঘুষ দিয়ে WBCS হয়েছেন। তোপ দাগেন জয়েন্ট বিডিও ও ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধেও। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও বলেন, “উনি WBCS পাশ করেননি। এখানে কাজে জয়েন করার পর থেকে বিডিও অফিসটাকে তৃণমূলের পার্টি অফিস করে ফেলেছেন। মানুষের পরিষেবা দেওয়ার জায়গায় তৃণমূলের দালালি করছেন। ওখানে প্রশাসনিক মিটিং হয় না। তৃণমূলের মিটিং হয়। কখনও বালির টাকা ভাগের মিটিং, কখনও কনট্রাক্টরদের ভাগের মিটিং। ওই অফিস রাখার কী দরকার!” বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখাও বলেন, “বিডিও জালি। ওর সার্টিফিকেট জাল। ওন্দার সব লোক এটা জানে।”
আরও পড়ুনঃ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-য় নতুন চ্যাপ্টার, সুজুকির ইলেকট্রিক গাড়ির সূচনা
এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক দানা বাঁধলেও বিডিও-র কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে তৃনমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিরূপ খাঁ সমিতির বিরোধী দলনেতার বক্তব্যর কড়া সমালোচনা করেন। তাঁর দাবি, বিজেপির কেন্দ্র ও রাজ্যের নেতাদের পথ অনুসরণ করেই এই বক্তব্য রেখেছেন।