কাশ্মীরের পহেলগামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৬ জন, যাঁদের প্রায় সবাই ছিলেন পর্যটক। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM)-এর প্রধান এবং লোকসভা সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
এদিন হায়দরাবাদে এক সাংবাদিক বৈঠকে সন্ত্রাসবাদীদের উদ্দেশে যা নয় তাই বলেন মিম নেতা। তাঁর কথায়, “এই কা*মি*না, হা*রা*ম*জা*দা*রা নাম জিজ্ঞাসা করে গুলি চালিয়েছে, ধর্ম দেখে হত্যা করেছে—এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এরা পাকিস্তান থেকে এসেছে, পাকিস্তানের আইএসআই এবং সরকার এদের মদত দিয়েছে।”
ওয়েইসি প্রশ্ন তোলেন, পর্যটকে ভরপুর একটি এলাকায় কেন কোনও নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল না কেন? কেন ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে কুইক রিঅ্যাকশন টিমের এক ঘণ্টা সময় লাগল?
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ওয়াইসি বলেন, “জঙ্গিদের মাথার উপর রয়েছে পাকিস্তান। এই শয়তানরা ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে। ওরা কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে দেবে না। সময় এসে গেছে ওদেরও উচিত শিক্ষা দেওয়ার। তাঁর কথায়,“ওদের যারা সমর্থন করে, তারাও সমান অপরাধী।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবেই।” একই সঙ্গে ওয়েইসি অভিযোগ করেন, হামলাকে হিন্দু-মুসলিম ইস্যু বানানোর চেষ্টা চলছে। বলেন, “সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম নেই। কাশ্মীরে যাঁরা সবথেকে বেশি নিহত হয়েছেন, তাঁরা কাশ্মীরি মুসলিম। ইসলামকে জেনারালাইজ করে এই কুকুরদের কাজকে ধর্মীয় রঙ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে—এটা সম্পূর্ণ অনুচিত।”
আরও পড়ুন: ‘জল বন্ধ হলে তা যুদ্ধ হিসাবে দেখা হবে’! ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ, বলল পাকিস্তান
তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে সরকারের কৌশল পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পহেলগাঁওয়ে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করার বিষয়টিকে প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেন। সবশেষে ওয়েইসি বলেন, “এটা ঘৃণার সময় নয়, একজোট হয়ে এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সময়।