কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
চোর বলে কি মানুষ নয়! তার কি খিদে পেতে পারে না! মাটনের দাম তো আকাশ ছুঁয়েছে। সামনে যদি মাটন, চিকেনের মতো লোভনীয় খাবারদাবার রাখা থাকে তাহলে চুরি পরেও হবে, খাওয়ার সুযোগ ছাড়া যাবে না।
আরামসে চিকেন, মাটন কোল্ড ড্রিংকস সাঁটিয়ে বাসনকোসন চুরি করে নিঃশব্দে পালিয়ে গেল চোর। এমন ঘটনা ঘটেছে ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায়। সেখানে রয়েছে খুকশিয়া পার্ক। ওই পার্কের রেস্তরাঁয় ঘটেছে এই উৎপাত। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে শুটআউট! মাদক কারবারীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা
ময়নাগুড়ি ব্লকে খাগড়াবাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে খুকশিয়া মন্দির। তার কাছেই পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে অনেক দিন আগেই তৈরী করা হয়েছে খুকশিয়া পার্ক। ওই পার্কের রেস্তরাঁ চালান মধ্যবয়স্ক সাহা দম্পতি। সকালে নিয়মমাফিক রেস্তরাঁয় এসে দেখেন ক্যান্টিনের চালের টিন খোলা। তখন তাঁরা বুঝতে পারেন সিলিং ভেঙে গতকাল রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। কী কী চুরি গেছে দেখতে গিয়ে চোখ কপালে।
ফ্রিজের চিকেন, মাটন উধাও। পড়ে রয়েছে খালি কোল্ড ড্রিঙ্কসের বোতল। শুধু তাই না, ঠান্ডা মাংস খাবে না বলে গ্যাস জ্বালিয়ে তা গরমও করেছে চোর। এতো রীতিমতো পার্টি হয়েছে যেন ফাঁকা রেস্তরাঁতে।
আরও পড়ুন: ভিড়ে ঠাসা চলন্ত লোকাল থেকে পড়ে মৃত ৬, জখম বহু
জানা গেছে, সিলিং ভেঙে চোর প্রথমে রান্না ঘরে প্রবেশ করে। দরজার একটি অংশ ভেঙে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে ঢোকে। দু রকম মাংস, কোল্ড ড্রিংকস আরাম করে খায়। এরপর ফ্রিজে থাকা কিছু কোল্ড ড্রিংকস এবং মেজে রাখা বাসনগুলি চুরি করে চোর পগার পার।
সরকারি ওই রেস্তরাঁ চালাতে সরকারকে মাসে ভাড়া দিতে হয় ৩ হাজার টাকা। যাঁরা ওই রেস্তরাঁ চালান, সেই সঞ্জীব ও তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতা সাহার কথায়, ‘প্রায় ৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়ে গেল। মনে হচ্ছে এটা বাইরের কারও কাজ নয়, স্থানীয় কেউ করেছে’।
থানায় অভিযোগ জানানোর পর ঘটনার তদন্তে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ। তবে চোর কি একা, নাকি দলবল নিয়ে এসেছিল সেটাই খতিয়ে দেখার বিষয়। অন্য কেউ জড়িয়ে রয়েছে কিনা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।