কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
অসহায়তার এক নিদর্শন। শিলিগুড়ি দীনবন্ধু মঞ্চের ঠিক উল্টো দিকে সরু রাস্তায় থাকেন এক মহিলা। অসহায় সহায় সম্বলহীন এই মহিলার দরকার চিকিৎসা এবং সাহায্য। ইতিমধ্য অনেকেই অনেকভাবে এসে সাহায্য করে গেছেন। কিন্তু সেটুকু যথেষ্ট নয়, একেবারে কথা বলতে পারেন না, বা অপুষ্টির জন্য ঠিক ভাবে কথা বলতে পারেন না।
আরও পড়ুন: ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করলেন জেলা সভাপতি
কেউ যদি দয়া করে খাবার দিয়ে যায় হল না হলে নয়। কিছু জিজ্ঞাসা করলে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে। বুঝতেও পারা যায় না কি বলতে চাইছে সে। মাঝে কয়েকদিন ছিল, আবার সে নেই আবার কোথা থেকে চলে আসে। তার দরকার একটা আশ্রয়, কিন্তু কে করবে তার জন্য? কে দেবে আশ্রয়, সব দিক দিয়ে অসহায় এই মহিলার পাশে দাঁড়ানোর যে কেউ নেই। একজন চেতনা বান নাগরিক অনুরোধ করেছিলেন যদি কিছু করা যায়। বাকিটা সামাজিক কর্তব্য, সমাজই বুঝে নেবে।প্রতিদিন সকালে চলে আসে সে, তারপর বেরিয়ে পড়ে খাবার জোগাড়ের সন্ধানে, ঘন্টা দেড় পরে আবার ফিরে আসে,খাবার নিয়ে। কোন সহৃদয় ব্যক্তি দান করলে তবেই জোটে খাবার। কার এত দয়া, শিলিগুড়ি শহরে কত এই ধরনের মানুষ আছে গুনে শেষ করা যাবে না। দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে এদের সংখ্যা।
আরও পড়ুন: মান্না দের গান দিয়ে জবাবি ভাষণ মেয়র গৌতম দেবের
তবুও এই মহিলাকে দেখলে সত্যিই দয়া মায়া হয়, কারন এই মহিলা যে বড়ই অসহায়। দরকার একটু সাহায্যের, কোন সহৃদয়শীল ব্যক্তি যদি একটু সাহায্য করে , তাহলে হয়তো এই জীবনটা একটু নিশ্চিত কাটবে তার। এরপরে বর্ষাকাল, এই জীবনে তার বাকি অংশটা যে কিভাবে লেখা হবে সেটা একমাত্র সময়ই বলে দেবে। মানুষ হয়ে জন্মে, এই জীবন নিশ্চয়ই তার প্রাপ্য ছিল না। তবুও সে এইভাবে জীবন কাটাচ্ছে, বাকি জীবনটা ভালোভাবে থাকার আশায়।