Tuesday, 16 September, 2025
16 September
বাংলা কাউন্টডাউন টাইমার
বঙ্গবার্তা
HomeকলকাতাSC certificate: এসসি শংসাপত্র নিয়ে বড় পদক্ষেপের ভাবনা রাজ্যের, সোশ্যাল মিডিয়ায় সাফল্যের...

SC certificate: এসসি শংসাপত্র নিয়ে বড় পদক্ষেপের ভাবনা রাজ্যের, সোশ্যাল মিডিয়ায় সাফল্যের খতিয়ান

গত ১৪ বছরে ৯৯ লক্ষ ৯১ হাজারের বেশি তফসিলি জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

এবার তফসিলি জাতির (এসসি) শংসাপত্র নিয়ম শিথিল করার কথা বিবেচনা করছে রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে রাজ্যের তফসিলি জাতি সম্প্রদায়ের জন্য সরকারি পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে রিভিউ বৈঠকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন। পাশাপাশি তফসিলি জাতি সংক্রান্ত শংসাপত্র পাওয়ার তালিকায় কোনও অযোগ্যরা যাতে স্থান না পায়, সেদিকেও কড়া নজর রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে নবান্ন সূত্রের খবর।

আরও পড়ুনঃ বাড়িতে পর পর পুরুষদের ডেকে কী করল স্বামী-স্ত্রী? হতবাক পুলিশ

এদিন রাজ্য তফসিলি জাতি উন্নয়ন পর্ষদের ডাকা এই বৈঠকে পৌরহিত্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের তফসিলি জাতিভুক্ত সমস্ত মন্ত্রী, বিধায়ক ও সাংসদ-সহ দফতরের সচিব ও আধিকারিকরা। এই বৈঠকে তফসিলি জাতিভুক্ত মানুষজনের জন্য যে সরকারি পরিষেবা প্রদান করা হয়, বিশেষ করে যোগ‍্যশ্রী প্রকল্পের সুবিধা যাতে সবাই পান সেদিকে বিশেষ প্রচারের প্রসঙ্গও উঠে আসে।

মতুয়া, নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য মতুয়া উন্নয়ন বোর্ড গত দেড় বছর ধরে অচল হয়ে আছে। দ্রুত সেটি চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন রাখেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা মতুয়া মহাসঙ্ঘের নেত্রী মমতাবালা ঠাকুর। সূত্রের খবর, মমতাবালা ঠাকুর মুখ্যমন্ত্রীকে আরও জানান, বাগদাতে একটি ভবন তৈরি করা হয়েছিল ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের জন‍্য। বিআর আম্বেদকরের নামে ওই স্কুলটি চালু হযনি। যাতে শীঘ্রই স্কুলটি চালু করা যায়, সেই আবেদনও তিনি করেন। পাশাপাশি মালদহে প্রচুর মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ (উদ্বাস্তু) রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বসবাস করছেন। তাঁদের পাট্টার ব্যবস্থা যদি করা যায়, তা নিয়ে পদক্ষেপের আবেদনও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাখেন মমতাবালা। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়গুলি খুঁটিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ পুজো সংখ্যায় জুড়ল নতুন গল্প! লাল পেড়ে শাড়ি 

এদিনের বৈঠক শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “তফসিলি জাতিভুক্ত মানুষদের কল্যাণার্থে মা-মাটি-মানুষের সরকার গঠন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সিডিউল কাস্ট অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল। ২০১০-১১ সালে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের বাজেট বরাদ্দ ছিল ১৬০ কোটি টাকা। যা ২০২৫-২৬ সালে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। গত ১৪ বছরে ৯৯ লক্ষ ৯১ হাজারের বেশি তফসিলি জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। মোট জাতিগত শংসাপত্র (তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণি) দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৬৭ লক্ষের বেশি। জাতিগত শংসাপত্র প্রদানের সময়সীমা আবেদন করার পর ৮ সপ্তাহ থেকে কমিয়ে ৪ সপ্তাহ করা হয়েছে।”

তিনি আরও লেখেন, “‘শিক্ষাশ্রী’ প্রকল্পে পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তফসিলি জাতি/উপজাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের বছরে ৮০০ টাকা স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত তফসিলি জাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের ১ কোটি ৫ লক্ষের বেশি স্কলারশিপ (৮১৪ কোটি টাকার বেশি) দেওয়া হয়েছে। তফসিলি জাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ৮৭ লক্ষ ৩৩ হাজার প্রি ম্যাট্রিক ও পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। তফসিলি জাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৩৪টি গার্লস হস্টেল, ১২টি বয়েজ হস্টেল, ২৮টি সেন্ট্রাল হস্টেল এবং ৯৭টি আশ্রম হস্টেল চালু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৪ লক্ষ ৬৬ হাজার তফসিলি জাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীর জন্য হস্টেল বাবদ মোট ৩ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।”

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন