আজব কাণ্ড! মার্কশিট পেয়ে মাথা চুলকাচ্ছে পড়ুয়ারা। কেন? পরীক্ষা হল ১০০ নম্বরের। এদিকে প্রাপ্ত নম্বর ২৫৭! ১০০-এ কীভাবে ২৫৭ পেতে পারে কেউ? এই উত্তরই খুঁজছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তবে গল্পের ইতি এখানেই নয়। এত নম্বর পাওয়ার পরও পাশ করতে পারেনি পড়ুয়া!
সম্প্রতিই বিহারের মুজাফফরপুরের বাবা সাহেব ভীমরাও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্রাজুয়েশনের তৃতীয় সেমিস্টারের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়। আর তাতেই দেখা যায় এমন অদ্ভুত রেজাল্ট। অঙ্ক মেলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: “জিষ্ণুবাবু”; দুই স্কুল, লাইব্রেরিয়ান একজনই! সমস্যার শেষ নেই
জানা গিয়েছে, বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ওই ভীমরাও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০-রও বেশি পড়ুয়ার রেজাল্ট এখনও প্রকাশিত হয়নি। পরীক্ষায় বসেছিল ৯০০০ পড়ুয়া। এর মধ্যে ৮০০০ পড়ুয়া পাশ করেছে। তবে সমস্যা হয়েছে হিন্দি, ইংরেজি ও বিজ্ঞান শাখার পড়ুয়াদের রেজাল্ট নিয়েই। হয় তাদের দ্বিগুণেরও বেশি নম্বর দিয়েও পাশ করানো হয়নি। আর নাহলে রেজাল্টই প্রকাশিত হয়নি।
অধিকাংশ পড়ুয়ার দাবি, তাদের ইন্টারনাল পরীক্ষার রেজাল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে জমাই দেয়নি কলেজ। এর আগেও এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। ১-২ নম্বর কম দিয়ে ফেল করিয়ে দেয়। সেই নম্বর চ্যালেঞ্জ করতে চাইলেও, তা নানা যুক্তি দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গের ‘নিজস্ব হিন্দুত্ব’ আমদানি! নাকি নিশানা ‘কালীঘাটবাসিনী’কেই?
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্তি, এটা টাইপিং মিসটেক। এই ধরনের ভুল হয়েই থাকে। এক্সাম কন্ট্রোলার অধ্যাপক রাম কুমার এই বিষয়ে বলেন, “কয়েকজন পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর মোট নম্বরের বেশি হয়ে গিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। পুনরায় যাচাই করার পর দেখা গিয়েছে এক্সেল শিটে এন্ট্রির সময় কিছু ভুল হয়েছিল, তাই রেজাল্ট ভুল এসেছে। ওই ভুল সংশোধন করা হয়েছে। কম্পিউটার অপারেটরকেও সতর্ক করা হয়েছে যে ভবিষ্যতে যেন এমন ভুল না হয়।”