Saturday, 18 October, 2025
18 October
Homeদক্ষিণবঙ্গKali Puja 2025: হাজার হাত কালী! বাংলার ব্যতিক্রমী এক ব্যতিক্রমী কালীমূর্তি

Kali Puja 2025: হাজার হাত কালী! বাংলার ব্যতিক্রমী এক ব্যতিক্রমী কালীমূর্তি

এই মন্দির খুবই জাগ্রত। ভক্তিভরে কিছু চাইলে মা কালী কাউকে ফিরিয়ে দেন না।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

আজ পেজে বাংলার এক ব্যতিক্রমী কালীমূর্তি নিয়ে আলোচনা করবো, যার অবস্থান আমাদের শহর কলকাতার পাশেই! হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, আজ আলোচনা করছি হাওড়া শিবপুরের হাজার হাত কালী নিয়ে। হাওড়ার শিবপুর অঞ্চলের ওলাবিবিতলা থেকে একটু এগোলেই পাওয়া যাবে হাজার হাত কালী মায়ের দর্শন। দেবীর নামেই জায়গার নামও হয়ে গিয়েছে হাজার হাত কালীতলা।

আরও পড়ুনঃ শুক্লা যোগের ব্রহ্মা যোগ, প্রতিটি কাজে সফলতা এই চার রাশি

ভাষার অপভ্রংশে লোকমুখে তা কখনও ‘হাজারাত কালীতলা’ নামেও প্রসিদ্ধ। এও জানিয়ে রাখি দক্ষিণবঙ্গের এই শহরের মন্দির বিখ্যাত দক্ষিণ ভারতেও। আসা যাক মন্দিরের ইতিহাসে। ১৮৮০ সালে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন তান্ত্রিক ভক্ত আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। চণ্ডীর এই হাজার হাতের রূপ আসলে স্বপ্নাদেশেই পাওয়া বলে জানা যায়।

পাশাপাশি চণ্ডীর ২২তম অধ্যায়ে দেবীর এই রূপের উল্লেখ রয়েছে। চণ্ডী অনুযায়ী অসুর নিধন কালীন দেবী দুর্গা বহুরূপ ধারণ করেছিলেন। তার মধ্যেই অন্যতম হল এই হাজার হাতের রূপ। কাত্যায়নী, মহামায়ার পরেই হুংকারে অসুর নিধন করতে আসেন হাজার হাত রূপিণী কালীমাতা।

আরও পড়ুনঃ মমতার মাস্টারস্ট্রোক! শিলিগুড়িতে ‘সবচেয়ে বড় শিবমূর্তি’

শোনা যায় মন্দির তৈরি করার ইচ্ছা থাকলেও সেই সামর্থ্য ছিল না তান্ত্রিক আশুতোষের। মন্দিরের বর্তমান সেবায়েত সেই আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের পরিবারই। পাশাপাশি এগিয়ে আরও মানুষজন। সবার ইচ্ছাতেই তৈরি হয়ে যায় হাজার হাত কালী মায়ের এই মন্দির। মন্দিরে নেই বলিদানের প্রথা। তবে বুদ্ধ পূর্ণিমায় মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস ও কালীপূজা এই ২ দিন বিশাল ধুমধাম করে মায়ের পূজা হয়। এছাড়া প্রত্যহ সকাল সাড়ে ৬টা, দুপুর ২টো ও রাত সাড়ে ৮ টায় মায়ের পূজা ও আরতি হয়। প্রসাদ দেওয়া হয় বিকেল বেলা ও রাত্রিবেলা আরতির পর। শোনা যায় মায়ের হাজার হাত গুনতে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। না, মায়ের পরীক্ষা নিতে তিনি ব্যর্থ হন। মৃত্যু হয়েছিল ওই ব্যক্তির। তবে মায়ের কাছে ভক্তি ভরে কিছু চাইলে মেলে নিশ্চিত ফল। তাই কোন সঠিক অঙ্কের হিসাব না মিলিয়ে ভুলে থাকুন হাজার হাতকালী মায়ের রূপে।

বছরে দুদিন, অর্থাৎ বুদ্ধ পূর্ণিমায় প্রতিষ্ঠা দিবস ও কালীপুজোর দিন এই মন্দিরের জাঁকজমক থাকে সেই আগের মতই। আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের পরিবারই বংশানুক্রমে এই মন্দিরের সেবায়েতের কাজ করে। তবে কথিত আছে, মায়ের হাজার হাত নাকি গোনা যায় না। স্থানীয়দের মতে, এই মন্দির খুবই জাগ্রত। ভক্তিভরে কিছু চাইলে মা কালী কাউকে ফিরিয়ে দেন না।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন