বাংলাদেশে চুপিসারে তিন পাক সেনা অফিসার! এমনই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। এখনও পর্যন্ত মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে এখনও এই সফর নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও সেদেশের গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষস্থানীয় সূত্রের দাবি তেমনই। পুরো বিষয়টির দিকে কড়া নজর রয়েছে নয়াদিল্লির। মনে করা হচ্ছে, খবরটা সত্যি হলে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ভারতেও পড়বে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের মোদি; দমদমে হতে পারে সভা
দাবি, তিন পাক সেনা অফিসারের নাম নাদিম আহমেদ, মহম্মদ তালাও সইদ আহমেদ রাও। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই তাঁদের নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কক্সবাজারে রামু আর্মি ক্যাম্পে গিয়েছিলেন তাঁরা। ওই অঞ্চল বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী অধ্যুষিত এলাকার একেবারে কাছেই। বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের দাবি, আইএসআই ও রোহিঙ্গা জঙ্গিদের মধ্যে আঁতাঁত তৈরি করাই এই সফরের উদ্দেশ্য। আশঙ্কা, তিন পাক সেনাকর্তার এভাবে লুকিয়ে বাংলাদেশে আসার পিছনে বড় কোনও খেলার ছক থাকতে পারে। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে চরমপন্থী মনোভাব তৈরির চেষ্টা বহুদিন ধরেই করছে বিএনপি। চাইছে ছায়াযুদ্ধ চালাতে।
আরও পড়ুন: আক্রমণের ঝাঁজ বৃদ্ধি পুতিনের; ইউক্রেনে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হামলা
আসলে শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের মসনদে বসার খোয়াব দেখছে জামাত ও বিএনপি। জামাত চাইছে চিন ও আইএসআইয়ের সাহায্যে বাংলাদেশে অশান্তির আগুন জ্বালাতে। এদিকে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আইএসআই উত্তরপূর্ব ভারতে গোপন হামলা চালাতে ঢাকায় ঘাঁটি গাড়তে চাইছে। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের মতোই বাংলাদেশের সঙ্গেও কূটনৈতিক সম্পর্কে ফাটল ধরেছে নয়াদিল্লির। বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরের মতো বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের শিকড় ছড়াচ্ছে পাকিস্তান! বাংলাদেশে উদ্বাস্তু হয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তান। যাদের ব্যবহার করা হবে ভারতের উত্তর-পূর্বকে অশান্ত করার লক্ষ্যে। সেই গুঞ্জনই আরও জোরালো হচ্ছে পাক সেনাকর্তাদের সাম্প্রতিক সফর ঘিরে।