কালীগঞ্জে বোমার আঘাতে নাবালিকার মৃত্যুতে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকঘণ্টা। আর এই সময়ের মধ্যে মাত্র এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার তা নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: SBI ব্যাঙ্কের মালিক এবার Jio একাই
এদিন কালীগঞ্জ উপনির্বাচ তৃণমূলের জয়ের পর বিজয়োল্লাসে মাতেন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা। সেইসময় বোমাবাজিতে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তামান্না খাতুনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনার তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম আদর শেখ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোটের ফল ঘোষণার পর বেশ কয়েকজন সিপিএমের কর্মীকে মারধর করা হয়। আহত অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তামান্নার মায়ের অভিযোগ, “শুধু ওদের ভোট দিইনি বলে এটা করল।”
আরও পড়ুন: শূন্য হতে পারে LPG ভাণ্ডার, বাড়বে দাম
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী আলিফা আহমেদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিয়োবার্তায় তিনি বলেন, “এই ঘটনায় আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ। আমি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের বার্তা দিয়েছি, এই ঘটনায় যারা জড়িত, দল-বর্ণ নির্বিশেষে তাদের যেন কঠোরতম শাস্তি হয়। প্রশাসন যেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।”
দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থী বলছেন, দোষীদের কঠোরতম শাস্তির জন্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। তারপরও ঘটনার বেশ কয়েকঘণ্টা পরও মাত্র একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করায় নানা প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনায় একজনই কি জড়িত ছিল? যদি আরও অনেকে জড়িত থাকেন, তাঁদের কেন এখনও গ্রেফতার করা গেল না, সেই প্রশ্ন উঠছে।