যুব তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত কলকাতার বড়তলা থানা এলাকা। বিডন স্ট্রিট সংলগ্ন এলাকায় এক যুবককে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। ইট, রড, কাচের বোতল দিয়ে সন্তু হালদার নামে ওই যুবককে মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাউন সুগার তৈরির কারখানা! তাও আবার শিলিগুড়িতে
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সন্তু এলাকায় যুব তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। তৃণমূলের আর এক যুবনেতা রাহুল ঝার গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের বিরোধ। মঙ্গলবার রাহুল ঝা ও তাঁর দলবল সন্তুকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। রড, কাচের বোতল দিয়ে মারধরে রাস্তাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সন্তু। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মুখ ও মাথায় ৩৯টি সেলাই করতে হয়েছে। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাজ্যের এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ রাহুল ঝা। এলাকায় যুব তৃণমূলেরই অন্য গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করেন সন্তু। সেই কারণে তাঁর উপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। রাহুল ঝা ও আরও কয়েকজনের নামে বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: “মুঙ্গেরিলাল কে হাসিন সপনে’ বলছে বিজেপি”; কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে নিষিদ্ধ হবে আরএসএস! ইঙ্গিত খাড়গের
বিডন স্ট্রিটে যুব তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষের অভিযোগ নিয়ে এখনও তৃণমূলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে বিভিন্ন সময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষের খবর সামনে আসে। দলে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল বরদাস্ত করা হবে না বলে একাধিকবার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তারপরও যে রাজ্যের শাসকদলে গোষ্ঠীকোন্দল জারি রয়েছে, বিডন স্ট্রিটের ঘটনা তারই প্রমাণ বলে রাজনীতির কারবারিরা বলছেন।