চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আর এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়কের! মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে। মহিলার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে অপমান করেছেন ওই বিধায়ক। শুধু তাই নয়, তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় চাকরিহারাদের বিক্ষোভ, কলকাতায় কসবার ডিআই অফিসে তালা ভেঙে ঢুকে পড়লেন বিক্ষোভকারীরা
২০২২ সালের বিয়ে হয়েছিল ওই মহিলার। কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন তাঁর স্বামী আরও একটি বিয়ে করেছেন। রাগে নিজের বাড়ি চলে আসেন তিনি। বিবাহবিচ্ছেদ করবেন, স্থির করে ফেলেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন চাননি বিয়ে ভেঙে যাক। তাই তাঁরা বৌমার বাপের বাড়িতে যান এবং একটি সালিশিসভা বসান বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য। সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।
এই সালিশিসভায় ছিলেন বেলডাঙার তৃণমূল বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখ। মহিলার বাবার অভিযোগ, ক্রমাগত মেয়ের শ্বশুরবাড়ির পক্ষ নিয়ে সালিশিসভায় সওয়াল করছিলেন তিনি। এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন যার কারণে মেয়ে উঠে চলে আসে। তারপরই সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই অন্তঃসত্ত্বা।
আরও পড়ুন: খেলা ঘিরে তেতে উঠল গয়েশপুর; ফুটবলারদের মারধরের নালিশ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে
বেলডাঙার বিধায়ক অবশ্য ‘অপমান’ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, মহিলার সংসারে যেন ফাটল না ধরে, সেই চেষ্টা করেছেন তিনি। তাঁকে ভাল পরামর্শই দিয়েছিলেন। কিন্তু এই যুক্তি মানতে চায়নি মহিলার পরিবার। তাঁদের পাল্টা, তিনি বিবাহবিচ্ছেদ করতে বারণ করেন মেয়েকে। কিন্তু সে তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেন বিধায়ক! তাই তাঁদের হুঁশিয়ারি, মেয়ের কিছু হয়ে গেলে বিধায়কই দায়ী থাকবেন।
ওই মহিলাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। হাসপাতালে সূত্রে খবর, কিছুটা স্থিতিশীল হলেও সঙ্কট এখনও কাটেনি তাঁর। এদিকে বিধায়ক বলছেন, দুই পরিবারের মধ্যে মিটমাট করতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়বেন তা ভাবেননি। তবে তিনি চান, আগে মেয়েটি সুস্থ হয়ে উঠুক।