আরজি করের ঘটনার পর কসবা। ফের শহরে নারী নিগ্রহ। কলেজে পড়ুয়া ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূলের দাপুটে ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে। গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার তিন। আর সমগ্র ঘটনায় গ্রেফতার চার। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর আবার বক্তব্য, মেয়েটি যদি সেখানে না যেত তাহলে এই ঘটনা ঘটতই না। আর এরপরই শুরু বিতর্ক। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি কীভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: ‘আমার ছেলে ফেঁসে গেল…’, বিস্ফোরক দাবি মায়ের
কসবা-কাণ্ডে দলের যুব নেতার নাম জড়াতেই প্রথম থেকেই কড়া অবস্থান নিয়েছে তৃণমূল। দোষীদের কোনওভাবেই রেয়াত করবে না শাসকশিবির, সে কথা বারেবারে বলেছে তারা। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ শনিবারই সাংবাদিকদের সামনে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “কসবার ঘটনা চূড়ান্ত নিন্দাজনক। জিরো টলারেন্স। ধরা হোক,শাস্তি হোক। পুরোদস্তুর তদন্ত চলছে। কাউকে ডিফেন্ড করছি না। এসব জানোয়ারকে পিঠের চামড়া তুলে দেওয়া হোক।” সেখানেই তৃণমূল নেতা মদন মিত্র বলছেন, মেয়েটি যদি ইউনিয়ন রুমে না যেতেন তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না।
আরও পড়ুন: রাতেও দেখে গিয়েছেন বড়ো মা-কে, কালীর রূপ দেখে হতভম্ব হয়ে গেলেন মহিলা
মদন বলেন, “উনি যখন যাচ্ছিলেন সেই সময় যদি সঙ্গে করে আরও দুই বন্ধুকে নিয়ে যেতেন বা কাউকে জানাতেন এটা ঘটত না। যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁরা তো সুযোগেরই ব্যবহার করেছেন।” আর মদনের এই বক্তব্যের পরই প্রশ্ন, কোনও মহিলা যদি একা ইউনিয়ন রুমে যানও, তারপরও তাঁকে ধর্ষণ করা যায়?
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, বুধবার কলেজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্ত ইউনিয়ন রুমে ডেকে পাঠায় তাঁকে। সন্ধে গড়াতেই তরুণী বেরতে চাইলে দরজা বন্ধ করে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের।