কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
একদিকে তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশ উপলক্ষে ধর্মতলায় জোর কদমে চলছে মঞ্চ বাঁধার কাজ। ওই একইদিনে উত্তরকন্যা অভিযান কর্মসূচি রয়েছে বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে তারা সেই কর্মসূচির অনুমতি পেয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, হাইকোর্টের অনুমতির পর সভার জন্য চুনাভাটি ফুটবল গ্রাউন্ডে মঞ্চ বাঁধতে বাধা দিচ্ছেন তৃণমূল সমর্থকরা। হাইকোর্টের নির্দেশের অবমাননা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির তৃণমূল বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। এই নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে শিলিগুড়িতে।
একুশে জুলাই শিলিগুড়িতে বিজেপির এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি শিলিগুড়িতে মিছিল ও সভা করবেন। পুলিশ এই কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়ায় হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিল বিজেপি। অনুমোদন দিয়েছে আদালত। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে এই কর্মসূচিতে বেশ কিছু বদল করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ‘বেটি বাঁচাও’ বলে ভোট চায়, বিজেপিকে বিঁধলেন শশী
হাইকোর্টের নির্দেশের পর যুব মোর্চা জানিয়েছে, তিনবাত্তি মোড় এলাকায় ১০০ জনের একাধিক মিছিল আসবে। সব মিলিয়ে দশ হাজার জনের জমায়েতে এসে পৌঁছবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপর উত্তরকন্যাকে পাশে রেখেই প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে র্যালি করে নেতা কর্মীরা পৌঁছবেন চুনাভাটি ফুটবল গ্রাউন্ডে। সেখানেই হবে সমাবেশ।
হাইকোর্টের নির্দেশে চুনাভাটিতে সভাস্থল হলেও সেখানে মঞ্চ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক। ওই মাঠে মঞ্চ তৈরি করতে বাঁশ নিয়ে গেলেও তা ফেলাই যায়নি। শুরু হয়নি মঞ্চের কাজ। শিখা চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “আদালতের নির্দেশ মেনে এই মাঠে সভা করছি আমরা। কিন্তু, তৃণমূলের লোকেরা বাধা দিচ্ছেন। এখানকার তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী বলছেন, মাঠে মঞ্চ গড়তে দেবেন না।” তাঁর দাবি, পুলিশ সব দেখে ব্যবস্থা নিক। যাঁরা বাধা দিচ্ছেন, তাঁদের গ্রেফতার করা হোক। আদালতের নির্দেশ মেনে এই মাঠেই তাঁরা সভা করবেন বলে জানিয়ে দিলেন।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়ি আরও নির্মম! চোর সন্দেহে তরুণকে পিটিয়ে খুন এনজেপিতে
চুনাভাটির ওই মাঠ সংলগ্ন এলাকা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। সেখানে স্থানীয়দের বাধার মুখে বিজেপি নেতৃত্ব পড়ার পর এদিন পুলিশ এলাকায় যায়। স্থানীয়দের দফায় দফায় বোঝানো হয়, আদালতের নির্দেশে সভা করতে দিতে হবে। কিন্তু বাসিন্দারা অনড়। গোটা মাঠে পুলিশ পাহারা রয়েছে।
সভাকে কেন্দ্র করে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সভার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হবে। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার পুলিশকর্মী ওইদিন শিলিগুড়িতে ওই সভায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।