তিনি কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ। আরও সঠিক ভাবে বলতে গেলে তিনি আসলে কেষ্ট-অনুরাগী। তাই তো দল যখন ‘চুপ’, সেই সময়েও কেষ্টর পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল বীরভূমের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা বিক্রমজিৎ সাউকে। সোশ্য়াল মিডিয়ায় লাইভ করে বোলপুরের IC লিটন হালদারকে বেলাগাম আক্রমণ তার। অবশ্য পরবর্তীতে সেই ভিডিয়ো ডিলিট করে দেন তিনি। তাতেও বিশেষ সুফল হয় না।
কারণ, বীরভূম তথা বঙ্গ রাজনীতির অলিগলিতে ততক্ষণে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্রমজিতের দৌরাত্ম্যের কথা। কিন্তু দল যে এখনও শেষ কথা। তাই তো সূর্য অস্ত যেতে শান্ত করে দেওয়া হল এই কেষ্ট ঘনিষ্ঠকে। রবিবার বিকাল নাগাদ নিজের সমাজমাধ্যমে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা বিক্রমজিৎ সাউয়ের সাসপেন্ড লেটার পোস্ট করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: দাদার ‘অনুপ্রেরণায়’ এবার আসরে তৃণমূল ছাত্রনেতা; ফের বোলপুরের আইসিকে আক্রমণ
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ছয় বছরের জন্য ছাত্র পরিষদ থেকে বিক্রমজিৎকে নিলম্বিত করেছে তৃণমূল শিবির। দলীয় নীতির বাইরে গিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় পুলিশ অফিসারকে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্যই তার বিরুদ্ধে এহেন পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: ‘AI করেছে’! দাবি শুনে লজ্জায় মুখ ঢাকল ChatGPT-রা
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো ঠিক কী বলতে শোনা যায় এই ছাত্র নেতাকে?
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি বঙ্গবার্তা ) শোনা যায়, ‘লিটন হালদার নাম ধরে বলছি, বাপের বেটা তোমার যদি দম তাকে তা হলে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে, TMCP-র বিরুদ্ধে এবং বীরভূমের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করে দেখাও। তুমি জান, তুমি কতটা দুর্নীতি পরায়ন। কত লোকের থেকে টাকা নিয়েছ। নিজের সব সম্পত্তি অনুব্রত মণ্ডলের হাতে তুলে দিতে চেয়েছ। তোমরা ডালে-ডালে চললে আমরা শিরা-উপ-শিরায় চলি। লিটন হালদার তুমি সরকারি কর্মচারি। আমি অন্যায় করে থাকলে শাস্তি দিও। কিন্তু তুমি যদি অন্যায় করো, তাহলে এর শাস্তি বীরভূমেই পেতে হবে।’