ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে বেশ কিছু বদল। উত্তর কলকাতার সভাপতি তুলে দেওয়া হল, অর্থাৎ আর উত্তর কলকাতার দায়িত্বে থাকছেন না সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়, আবার বীরভূমেও ঠিক তেমনটাই। অনুব্রত মণ্ডলের হাতে নেই বীরভূম। সেক্ষেত্রে উত্তর কলকাতা, বীরভূমের দায়িত্বে থাকছে কোরকমিটিই। মূলত সভাপতি ও চেরাম্যান পদেই বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে। তবেব্যাপক রদবদল নয় , বেশিরভাগ জেলাতেই পুরনো সভাপতি।
আপাতত সভাপতি তালিকায় নাম নেই কাকলি ঘোষ দস্তিদারের । বারাসত সাংগঠনিক জেলায় কমিটি গঠন পরে হবে। হাওড়া জেলা শহর ও গ্রামীণ দুই কমিতিতেই সভাপতি বদল।
সূত্রের খবর, ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে দলীয় সংগঠন ঢেলে সাজাতে চাইছে তৃণমূল। শুক্রবার সভাপতি ও চেয়ারপার্সনের পরিবর্তনের তালিকা এসেছে। উল্লেখ্য, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন সভাপতি থাকবেন, তা নিয়েই বচসা শুরু হয়েছিল তাপস রায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। সুদীপের এই পদ নিয়ে সংগঠনের অন্যান্য নেতাদেরও আপত্তি ছিল বলে সূত্রের খবর। দেখা গেল, ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে কোনও ব্যক্তির ওপর ভরসা না রেখে, কমিটির ওপর দায়িত্ব দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে এটাও প্রশ্ন, ভোটের মুখে বড় পরীক্ষা নিরীক্ষায় গেল না তৃণমূল ? পুরনো কমিটিতেই আস্থা রাখল দল।
আরও পড়ুন: অপসারিত সুদীপ, কুণাল শিবিরের উচ্ছ্বাস; উত্তর কলকাতা তৃণমূলে ব্যাপক রদবদল
আরও একটি বিষয়, বেশ কয়েকটি জায়গায় সভাপতিত্বের পদ নিয়েই দলে কোন্দল শুরু হয়েছিল। সেই সব জায়গাগুলোতে দলীয় কোন্দল ঠেকাতে সভাপতির পদই তুলে দিয়েছে দল। আর সেক্ষেত্রে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কোর কমিটিকেই।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে পারফরমেন্স অনুযায়ী বড় রদবদল হবে দলে। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা গেল, পুরনো সভাপতি স্তরে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রেই বদল এসেছে, পাশাপাশি পুরনো কমিটিতেই আস্থা রেখেছে দল।