Tuesday, 17 June, 2025
17 June, 2025
Homeউত্তরবঙ্গMalda: ত্রিপল নয়, খিচুড়ির টাকা চুরি! TMC-র বিরুদ্ধে TMC

Malda: ত্রিপল নয়, খিচুড়ির টাকা চুরি! TMC-র বিরুদ্ধে TMC

বার বন্যা বিধ্বস্তদের খিচুড়ির টাকা লুঠের অভিযোগ। অভূক্ত বানভাসীদের খিচুড়ি খাওয়ানোর দেড় কোটি টাকা লুঠের অভিযোগ।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:

ত্রিপল-ত্রাণ চুরির অভিযোগ উঠেছিল আগে। বিরোধীরা বারেবারে সেই ইস্যুতে শাসকদল তৃণমূলকে কম বেঁধেনি। তবে প্রতিবারই নিজেদের সেই দিকে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা। আর এবার বন্যা বিধ্বস্তদের খিচুড়ির টাকা লুঠের অভিযোগ। অভূক্ত বানভাসীদের খিচুড়ি খাওয়ানোর দেড় কোটি টাকা লুঠের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, লুঠ করার পাশাপাশি দফায় দফায় ভুয়ো বিল বানানোর অভিযোগ। গোটা ঘটনায় এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলই। তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ওই পঞ্চায়েতেরই ১৩ জন তৃণমূল সদস্য। অভিযোগ গিয়ে জমা পড়েছে জেলা শাসক, মহকুমা শাসক, বিডিওর কাছে। জেলা শাসকের নির্দেশে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।

মালদার মানিকচকের ভূতনির উত্তর চণ্ডিপুর গ্রাম। সেখানেই পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে বন্যাত্রাণের প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত উত্তর চণ্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অর্চনা মণ্ডল ও এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট বা নির্বাহী সহায়ক বাসুদেব মণ্ডল মিলে বন্যার্তদের জন্য খিচুড়ি,যোগাযোগের জন্য নৌকা এবং স্যানিটাইজেশনের জন্য বরাদ্দ ওই টাকা লুঠ করেছেন। টাকা তছরুপে জড়িত পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মী ও কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্যও বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: শোরগোল নবদ্বীপে! একাধিক মৃতদেহ গায়েব

গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ ১৩ জন তৃণমূল সদস্য এবং বিজেপি-কংগ্রেস মিলিয়ে মোট ১৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় হইচই শুরু হয়েছে। শুধু ব্লক ও জেলা প্রশাসনকে জানানো নয়, পঞ্চায়েত প্রধান, এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ছয়টি ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন অভিযোগকারীরা।

বস্তুত, গত বছর পরপর দু’দফার বন্যায় নাজেহাল দশা হয় ভূতনি থানা এলাকা। প্রায় দু’মাস জলবন্দি ছিলেন তাঁরা। বন্যার কবলে জমির ফসল, ভিটেমাটি সর্বস্ব হারিয়েছেন ভূতনিবাসী। চরম দুর্দশায় ছিলেন উত্তর চণ্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ। অভিযোগ, এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বড় অঙ্কের টাকা লুঠ করেছে উত্তর চণ্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। সামান্য কিছু টাকা খরচ করেই দেড় কোটি টাকার খিচুড়ির ভুয়ো বিল বানিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় ১৫তম অর্থ কমিশন, স্বচ্ছ ভারত মিশন সহ অন্যান্য প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত প্রায় দেড় কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কোটা-আন্দোলনে লাঠি উঁচিয়ে যোগ দেওয়া নিউটন কাকদ্বীপেরও ভোটার! রয়েছে তৃণমূল-ঘনিষ্ঠতা

এর প্রতিবাদে ভূতনি থানা, মানিকচকের বিডিও, মালদা জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন উত্তর চণ্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান নাসির শেখ সহ তৃণমূলের ১৩ জন, কংগ্রেসের দুজন ও বিজেপির একজন সদস্য। গত মার্চ মাসে তাঁরা দ্বারস্থ হন উচ্চ আদালতের। আদালত মানিকচকের বিডিওকে তিন মাসের মধ্যে এই ঘটনার সম্পর্কিত তথ্য জমা দিতে নির্দেশ দেন। এই ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছেন প্রধান। তবে অভিযুক্ত নির্বাহী সহায়ক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

উপপ্রধান নাসিম শেখ বলেন, “বিগত দিনে বন্যা হয়েছিল। ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা তুলেছি। তার মধ্যে খরচ হয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা। বাকি ৪৫ লক্ষ টাকা প্রধান আত্মসাৎ করেছেন। আমরা বলেও ছিলাম এতটা করতে পারেন না। কিন্তু উনি থ্রেট দেন। বললেন, আমি যেটা করব সেইটাই হবে। এই নিয়ে তর্ক হয়। এরপর হাইকোর্ট, বিডিওকে লিখিত অভিযোগ করি। সব ভুয়ো বিল বানিয়েছে।”

উত্তর চণ্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যনির্বাহী সহায়ক বাসুদেব মণ্ডল বলেন, “এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ। জেলা প্রশাসন যে ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেই ভাবেই কাজ করেছি।”

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন