স্কুলের ভিতরে ঢুকে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষককে মারধর, ঘাড়ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে। কাকদ্বীপের বীরেন্দ্র বিদ্যালয়ের ঘটনায় অভিযুক্তর শাস্তির দাবি জানাল অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস।
আরও পড়ুনঃ উল্টো পথে হাঁটল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়! আজ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থাকছে না ছুটি
অভিযুক্ত স্কুলের পরিচালক সমিতির সভাপতি বলেই জানা গেছে। একইসঙ্গে তিনি তৃণমূল পঞ্চায়েতেরও সদস্য। অভিযোগ, ওই শিক্ষককে তাড়া করে মারতে মারতে স্কুল থেকে এসপিডিও অফিস পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ASFHM। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি এক বিবৃতিতে বলেন, “এটি একজন শিক্ষককে তাঁর কর্মস্থলে আক্রমণ করার জঘন্য ঘটনা। আমরা দাবি জানাচ্ছি, দ্রুত দোষীদের শাস্তি দিয়ে প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।”
তাদের কথায়, জানিয়েছে, রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি ও অসামাজিক উপাদান শিক্ষাঙ্গনে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে। তারা শিক্ষামন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছে, এমন ব্যক্তিদের স্কুল-কলেজ থেকে দূরে রাখার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা যায়।
আরও পড়ুনঃ ২ মাসে ৩ মৃত্যু! ফুঁসছে নাগরাকাটা; কিশোরকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গেল চিতাবাঘ
সংগঠন আরও জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবে এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আপসহীন সংগ্রাম করবে।
তবে শিক্ষককে হেনস্থার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার হয়েছে। সম্প্রতি পাড়ায় মদের আসর নিয়ে প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হয়েছিলেন একজন শিক্ষক। দুষ্কৃতীরা তাঁকে মাটিতে ফেলে লাথি, ঘুষি, মারে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় এক তরুণী-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যাদের মধ্যে দুজন ছিল নাবালক।