কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
ছেলের হাতে মার মৃত্যু শিলিগুড়িতে পরপর ঘটে যাওয়ার পরেও অন্যদিকে এক ঘটনা যেন আমাদের মনকে বিশ্বাসের জায়গাতে ফিরিয়ে দেয়। বিশ্বাসের নাম পল্টন পাত্র। যিনি মাকে দেবতারজ্ঞানে দেবতা রূপে পূজা করেন। ছোটবেলা থেকেই মাকে নিয়েই তৈরি হয়েছিল তার জীবন, আজকে মা নেই পৃথিবীতে তবুও তিনি সকাল থেকে সন্ধ্যা মনের মধ্য মায়ের পুজো করেই জীবনকে এগিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: Siliguri: “খাদ্য প্রেমিক চোর”! শিলিগুড়িতে গ্রেফতার
শিলিগুড়ির আশ্রম পাড়ার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শেখর পাত্র (পল্টন) গৃহ শিক্ষকতা করেন। জানালেন আমার জীবন মায়ের দেওয়া, তাই মাকে নিয়েই আমি চলি। আজকে পৃথিবীতে আমার পাশে আমার মা নেই, তবুও তিনি ভীষণভাবে বেঁচে আছেন আমার মননে এবং আমার সপনে। তিনি চান না এই নিয়ে কোন প্রচার হোক, কারণ তিনি একটা কথাই বিশ্বাস করেন মার সেবা, শিক্ষক শেখর, খেলাধুলার সাথেও জোর জড়িত তিনি। তিনি জানালেন আমি যাই করি আমার মায়ের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি, মাই আমার আদর্শ মাই আমার ভগবান। পরিবারের সবকিছুর মধ্যেই থাকেন মা, তাই আমি মানি মাকে নিয়ে চলতে পারলে পৃথিবীতে আর কোন বাধা আমার কাছে আসবে না। সন্ধ্যাবেলার দিকে সন্ধ্যার সময় মায়ের ছবিতে তিনি পুজো করেন, ধুপকাঠি দিয়ে। তিনি জানালেন মা বেঁচে থাকতে, মা আমাকে কোন কষ্ট অনুভব করতে দেননি, আর্থিক একই চেষ্টা আমি করে গেছি আমি বড় হওয়ার পরে। আজকে আমার কাছে, সব থেকে বড় পাওনা, আমার মায়ের আশীর্বাদ। আমি যা পেয়েছি যা চেষ্টা করেছি, সবই মায়ের কারণে। আর সেই কারণেই আমি আজকে এই জায়গা আসতে পেরেছি বলে মনে প্রানে বিশ্বাস করি। আর আমি ঠিক এভাবেই চলতে চাই, জানালেন শেখর বাবু।
আরও পড়ুন: Siliguri: শিলিগুড়ি পুরসভার পূর্তি উদযাপন
তিনি আরো জানালেন, প্রত্যেক সন্তানের উচিত তা মা বাবার দিকে খেয়াল রাখা, কারণ তারাই হলেন জীবন্ত ভগবান তার আরেকটি সুন্দর দিক আছে, সেটি হল যখনই তিনি শোনেন দুস্থ গরিব ছেলেমেয়েদের বই খাতা অথবা পড়াশোনার অন্যান্য জিনিসের সমস্যা হচ্ছে, তখনই তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। আমি প্রচার চাই না কোনদিন, কাউকে সাহায্য করে তার প্রচার আমার ঘোর অপছন্দ, কারন আমি মনেই করি না এটা সঠিক পথ। জানালো পল্টন, দেবী সরস্বতী বিদ্যার দেবী, আমি সামান্য এক শিক্ষক শিক্ষিত হয়ে শিক্ষিতার মতোই যদি আচরণ না করি তবে কি লাভ পড়াশোনা করে? জানালো পল্টন পাত্র, মার কাছ থেকেই আমি শিখেছি মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দাও, এর থেকে আর বেশি আনন্দ আর কোন কিছুতে তুমি পাবে না, আমি শুধুমাত্র এটাই মেনে এগিয়ে চলেছি জানালো সে।