বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে ফের সুর চড়ালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিকস গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলির উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্তে নমনীয়তা দেখালেন ঠিকই, কিন্তু স্পষ্ট করে এটাও জানিয়ে দিলেন, কেউ আমেরিকা বিরোধী নীতি নিলে রেয়াত করা হবে না।
আরও পড়ুন: চারপাশ ধোঁয়া-ধোঁয়া, কোথাও আবার হাঁটুজল
রবিবার গভীর রাতে নিজের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এই ঘোষণা করেন ট্রাম্প। তিনি স্পষ্ট জানান, ব্রিকস গোষ্ঠীর কোনও দেশ যদি যুক্তরাষ্ট্র-বিরোধী অবস্থান নেয়, তবে তাদের উপর অবিলম্বে ১০ শতাংশ বাড়তি আমদানি শুল্ক চাপানো হবে। সেই ঘোষণার পরপরই শুরু হয় আলোচনা। ব্রিকস গোষ্ঠীর দেশগুলি একযোগে এমন অভিযোগ খারিজ করে জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোনও ভাবেই আমেরিকার বিরুদ্ধে একজোট নয়।
এক মার্কিন সরকারি সূত্রর কথায়, “এখনও শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়। তবে যদি কোনও দেশ ‘অ্যান্টি-আমেরিকান’ নীতি নেয়, তখন তাৎক্ষণিকভাবে শুল্ক চাপানো হবে। এটা স্পষ্ট বার্তা।” ওই সূত্রটি পরিচয় গোপন রাখার শর্তে আরও বলেছে, “একটা দাগ টানা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র-বিরোধী অবস্থান মানেই অর্থনৈতিক মূল্য দিতে হবে।”
ঘটনা হল, এই ঘোষণা এসেছে এক সময়ে, যখন ব্রিকস গোষ্ঠীর অন্তর্গত ভারত, ইন্দোনেশিয়া-সহ একাধিক দেশ আমেরিকার সঙ্গে শেষ মুহূর্তের বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা চালাচ্ছে। আগামী ৯ জুলাই বাড়তি শুল্ক আরোপের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। তার আগেই এই চাপ বাড়ানোর কৌশল যে আমেরিকার এক রাজনৈতিক চাল, তা বলাই যায়।
আরও পড়ুন: সেজেগুজে ফিরল শতাব্দীপ্রাচীন শ্রীরামপুর-সল্টলেক ৩ নম্বর বাস
বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন নির্বাচনের মুখে ট্রাম্প ফের বহির্বিশ্বে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছেন। আর তার জেরে দক্ষিণ গোলার্ধের উদীয়মান অর্থনীতিগুলি ফের চাপে পড়তে চলেছে। তবে ব্রিকস দেশগুলির এই সংহতি ও পালটা প্রতিক্রিয়া আগামী দিনে কী রূপরেখা তৈরি করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।