৫০ কোটি টাকা ছিল। কিন্তু আজ বামপন্থীদের শাসন শেষ হওয়ার ১৪ বছর হয়ে গেছে, কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।’ তার বিস্ফোরক মন্তব্য, ‘এখন সিপিএম আগের মতো নেই। যা দেখে আমি দলে যোগ দিয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: ‘গর্ভবতী’ পাকিস্তান, যে কোনও সময়ে জন্মাতে পারে বালোচিস্তান!
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘দলের কিছু নেতা এখন অবৈধ কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছেন এবং গোপনে বিজেপির সঙ্গে কাজ করছেন। আমি সেই নেতাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করেছিলাম। তাই আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কলকাতার এক দলের নেতা এই জেলায় এসে ব্যবসা করছেন। সে মহিলাদের সঙ্গে হোটেলে যান। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে গত ৬ মাস ধরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়গুলি প্রচার করা হয়েছে। আমাকে অপমান করার জন্য, তা করা হয়েছে। আজ সেই কারণেই আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন যে, ‘আমি জনগণের জন্য কাজ করে যাব। কারণ রাজনীতি আমার কাছে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম নয়। বরং তা জনসেবার মাধ্যম।’
এদিকে, বংশগোপাল চৌধুরীকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত জানার পরে স্বাভাবিক ভাবেই সিপিএমকে একযোগে আক্রমণ করেছে রাজ্য ও কেন্দ্রের দুই শাসক দল। আসানসোল পুরনিগমের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অশোক রুদ্র বলেন, ‘বামপন্থীদের আসল চেহারা ধীরে ধীরে সামনে আসছে। সঠিকভাবে অনুসন্ধান করলে কেবল বংশগোপাল চৌধুরীই নয়, এমন আরও অনেক ব্যক্তিকে ঐ দলে পাওয়া যাবে যারা বড় বড় কথা বলে। কিন্তু তাদের আসল চরিত্র ঠিক এইরকম। একজন নেতা যে দলেরই হোন না কেন, তার বোঝা উচিত যে তিনি সমাজে আছেন এবং তাকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হন। এমন পরিস্থিতিতে, যদি তিনি এমন কাজ করেন, তাহলে তাকে দেখার পর যারা রাজনীতিতে আসবেন তাদের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, বিশেষ করে মহিলারা রাজনীতিতে আসার আগে নিরাপত্তাহীনতা বোধ করবেন, তাই নেতাদের তাদের প্রতিটি কাজের উপর অনেক নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত।
আরও পড়ুন: কমরেডদের মধ্যে মারামারি, কসবার পার্টি অফিসে
অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে, বিজেপির রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ভবিষ্যতে বংশ গোপাল চৌধুরীর মতো নেতারা তৃণমূলে যোগ দেবেন। কারণ সমস্ত চোর এবং এই ধরনের লোকেরা তৃণমূলে যোগ দেয়। তাদের একটাই জায়গা, আর তা হল তৃণমূল।’