জ্বালাপোড়া সেই গরমের দাপট নেই, পরিবর্তে টানা বৃষ্টিতে শীতের আমেজ ফিরেছে ঠিকই কিন্তু বাজারে গিয়ে রীতিমতো ছ্যাঁকা লাগছে আমজনতার।
আরও পড়ুন: বিজেপি নেত্রী ও তৃণমূল নেতা রাতবিরেতে একই গাড়িতে! দেখে চোখ কপালে স্থানীয়দের
কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার বাজারে এখন গিয়ে দাঁড়ালেই রীতিমতো হাত পুড়ে যাওয়ার অবস্থা। লঙ্কা থেকে বেগুন, টমেটো থেকে ঢ্যাঁড়শ—প্রায় সবজির দামই এক লাফে আকাশ ছুঁয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পিছনে মূল দোষী টানা বর্ষণ। তবে সাধারণ মানুষের মতে, যত না বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হয়েছে, তার চেয়ে বৃষ্টিকে অনেকবেশি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ঘটনায় ফের বাজারে টাস্ক ফোর্সের অভিযানের দাবিও উঠছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেল, সপ্তাহ খানেক আগেও যেখানে কেজি প্রতি লঙ্কা ৭০ টাকা কিলো বিক্রি হচ্ছিল, সেই লঙ্কার দামই কেজি প্রতি ছুঁয়েছে ২০০ টাকা। একইভাবে বেগুনের দাম বেড়ে ৯০-১০০ টাকা কেজি, টমেটো ৮০-১০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঝিঙে ও করলা—দু’টিই ৮০ টাকা কেজি, ঢ্যাঁড়শও পকেট গরম করছে, দাম ৬০ টাকা প্রতি কেজি।
একমাত্র আলু কিছুটা স্থির—২০ টাকা কেজির আশেপাশে। সবজির পাশাপাশি বাড়তি দাম জ্বলছে মাছ ও মাংসেও। রুই, কাতলা, ইলিশ, সবই আগের তুলনায় বেশ কিছুটা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির মাংসেও লেগেছে বাড়তি ট্যাগ।
আরও পড়ুন: পিনরাই এর ঘুম ওড়াচ্ছে শশী; কেরলে কংগ্রেস জিতলে শশী তারুর ‘বেশি পছন্দের’ মুখ্যমন্ত্রী? সমীক্ষা বলছে
বিক্রেতাদের দাবি, টানা বৃষ্টিতে চাষের ক্ষতি হয়েছে। বহু জমিতে জল জমে সবজি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। জোগান কম, চাহিদা বেশি, ফলে দাম বাড়ছে। বিশেষ করে কাঁচা লঙ্কার ক্ষেত্রে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় উৎপাদন প্রায় শেষ। বেলডাঙার লঙ্কাও ফুরিয়ে এসেছে। এখন বাইরের রাজ্য থেকে লঙ্কা এলে দাম কিছুটা কমবে বলে আশা।
এদিকে বাজারে গিয়ে প্রতিদিনের রান্নার জোগান সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষত দিন আনি দিন খাই মানুষজনের পক্ষে এই দামে রোজের বাজার করা কার্যত অসম্ভব। অভিযোগ উঠছে, কিছু ব্যবসায়ী এই সুযোগে অতিরিক্ত মুনাফা করছেন। এমন অবস্থায় বাজারে টাস্ক ফোর্সের অভিযানের দাবি উঠেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে টাস্ক ফোর্সের এক কর্তা বলেন, বিষয়টি আমাদেরও নজরে এসেছে। শুক্রবার থেকে বাজারে অভিযান হবে। ওই কর্তা বলেন, “বর্ষার জেরে জেলায় জেলায় সবজি নষ্ট হয়েছে। সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে ঠিকই। তবে কেউ যদি সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত লাভ করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”