Tuesday, 17 June, 2025
17 June, 2025
Homeরাজ্যShatarup Ghosh: 'বিকাশরঞ্জনকে নোবেল দেওয়া উচিত,' মমতার মন্তব্যের পাল্টা খোঁচা শতরূপের

Shatarup Ghosh: ‘বিকাশরঞ্জনকে নোবেল দেওয়া উচিত,’ মমতার মন্তব্যের পাল্টা খোঁচা শতরূপের

সোশ্যাল মিডিয়ায় বামনেতা শতরূপ ঘোষ লিখলেন, "বিকাশবাবু পৃথিবীর বৃহত্তম উকিল হিসেবে একটা নোবেল পেলে আপনার দুটো নোবেল পাওয়া উচিত। পৃথিবীর বৃহত্তম চোর হিসেবে একটা, বৃহত্তম মিথ্যেবাদী হিসেবে আরেকটা।"

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সূত্র ধরে সিপিএম নেতা তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করে আরও একবার ব্যাঙ্গ করতে ছাড়লেন না।

চাকরি বাতিলের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার যখন মমতা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন, তখনই বিকাশরঞ্জনকে নিয়ে তিনি বলে ওঠেন, “কেসটা করেছিলেন বিকাশবাবু। তিনি তো পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম আইনজীবী! উনি কেন এখনও নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন না জানি না! পাওয়া উচিত। ভাবছি রেকমেন্ডেশন করব!”

আরও পড়ুন: গভীর রাতে ১২৮-৯৫ ভোটে রাজ্যসভায় পাশ ওয়াকফ বিল! প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন, শুধু রাষ্ট্রপতির সইয়ের অপেক্ষায়

সেই কথার প্রসঙ্গ টেনেই এদিন রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বামনেতা শতরূপ ঘোষ লিখলেন, “বিকাশবাবু পৃথিবীর বৃহত্তম উকিল হিসেবে একটা নোবেল পেলে আপনার দুটো নোবেল পাওয়া উচিত। পৃথিবীর বৃহত্তম চোর হিসেবে একটা, বৃহত্তম মিথ্যেবাদী হিসেবে আরেকটা।”

ঘটনা হল, ২০১৬ এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় অযোগ্যদের চাকরি বাতিলের দাবিতে আদালতে সওয়াল করেছিলেন বিকাশরঞ্জন। ওই মামলায় গত বছর পুরো প্যানেলটাই বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টও হাইকোর্টের সেই রায় বহাল রেখেছে।

আরও পড়ুন: ‘দেশপ্রেমী’র চিরবিদায়, প্রয়াত অভিনেতা মনোজ কুমার

তবে শুধু যে বিকাশরঞ্জনকেই মমতা কটাক্ষ করেছেন তা নয়, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপির তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও নাম না করে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই রায়টা যিনি প্রথম দিয়েছিলেন তিনি বিচার ব্যবস্থা ছেড়ে দিয়ে বিজেপির এমপি হয়েছেন। সাম গাঙ্গুলি না ডাঙ্গুলি!”

বস্তুত, এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মমতা এও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন যে, চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত  এক ধরনের ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’। পরিশেষে স্কুল-কলেজ মিলিয়ে রাজ্যে এখনও এক লক্ষ পদে নিয়োগ বাকি বলেও সাংবাদিক বৈঠকে জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এও জানান, নিয়োগ নিয়ে এই মামলা চলছিল বলেই এত দিন ওই নিয়োগ করা যাচ্ছিল না। এর পরে ওই বকেয়া নিয়োগের দিকেই মন দেবেন তিনি।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন