Thursday, 6 November, 2025
6 November
HomeদেশBihar: তেজস্বী-সহ ১৩১৪ জন প্রার্থীর পরীক্ষা; নীতীশের রাজ্যে এনডিএ না মহাগঠবন্ধন?

Bihar: তেজস্বী-সহ ১৩১৪ জন প্রার্থীর পরীক্ষা; নীতীশের রাজ্যে এনডিএ না মহাগঠবন্ধন?

সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ, চলবে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত৷ বৃহস্পতিবার মোট ১৩১৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে৷

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

আর মাত্র কয়েক মিনিটের প্রতীক্ষা। ৬ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভার ভোটগ্রহণ। প্রথম দফায় ১৮টি জেলার ১২১ আসনে ১৩১৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য ইভিএমে বন্দি হবে। মূল লড়াই শাসক এনডিএ এবং বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিহার সংস্করণ মহাগঠবন্ধনের মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ সেজে উঠল কোচবিহারের শ্বেতশুভ্র মদনমোহনবাড়ি; রাস উৎসবের সূচনা করলেন জেলাশাসক

প্রথম দফার ভোটে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের কনিষ্ঠপুত্র তথা বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব (রাঘোপুর)। লালুর ‘বিদ্রোহী’ জ্যেষ্ঠপুত্র তথা জনশক্তি জনতা দল প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান তেজপ্রতাপ যাদব (মহুয়া), বিহারের দুই বিজেপি উপমুখ্যমন্ত্রী— সম্রাট চৌধরি (তারাপুর) এবং বিজয়কুমার সিন্‌হা(লখীসরাই), বিজেপিতে যোগ দেওয়া ভোজপুরি গায়িকা মৈথিলী ঠাকুর (আলিনগর), ভোজপুরি গায়ক ও অভিনেতা খেসারীলাল যাদব (আরজেডি, ছপরা)। প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে পটনা, দ্বারভাঙ্গা, মধেপুরা, সহরসা, মুজফ্‌ফরপুর, গোপালগঞ্জ, সিওয়ান, সারণ, বৈশালী, সমস্তিপুর, বেগুসরাই, লখীসরাই, মুঙ্গের, শেখপুরা, নালন্দা, বক্সার এবং ভোজপুর জেলায়। এর মধ্যে মধ্য বিহারের জেলাগুলিতে আরজেডির ভাল প্রভাব রয়েছে।

মঙ্গলবার প্রথম দফার ভোটের প্রচারের শেষপর্বে প্রতিশ্রুতির বন্যা এবং একে অপরকে কাঠগড়ায় তুলে প্রচারে ঝড় তুলেছে শাসক-বিরোধী সব পক্ষই। মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী আগেই বিহারের প্রতিটি পরিবারের এক জন সদস্যকে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শেষবেলায় তাঁর অঙ্গীকার, মহাগঠবন্ধন ক্ষমতায় এলে বিহারের মহিলাদের এককালীন ৩০০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কৃষকেরাও পাবেন অঢেল সুবিধে। অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ এবং তাঁদের সহযোগী বিজেপির প্রচারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে ‘লালু জমানার জঙ্গলরাজ’ এবং গত দু’দশকে বিহারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং উন্নয়ন।

আরও পড়ুনঃ মায়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পের মতো বিপর্যয় নেমে এলে কী হবে এখানে? আদৌ কি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা গুলোর মধ্যে পড়ে কলকাতা?

লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস)-র প্রধান চিরাগ পাসোয়ান ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে এনডিএ-তে থেকেও জেডিইউর বিরুদ্ধে প্রায় সমস্ত আসনে প্রার্থী দিয়েছিলেন (তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বিজেপি প্রার্থীদের ‘ছাড়’ দিয়েছিলেন তিনি)। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছিল নীতীশের দল। পাঁচ বছর আগে নীতীশকে জেলে ঢোকানোর হুমকি দেওয়া চিরাগ এ বার ছট উৎসবে নীতীশের বাড়িতে গিয়ে পা-ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিয়েছেন। তাঁর দলও বিজেপি-জেডিইউর সঙ্গে আসন সমঝোতা করেছে। এ ছাড়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা মহাদলিত জনগোষ্ঠীর নেতা জিতনরাম মাঁঝীর ‘হাম’ (হিন্দুস্থানী আওয়াম মোর্চা), প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা রয়েছে এই জোটে। বিজেপি নেতৃত্ব এই জোটকে ‘পঞ্চপাণ্ডব’ বললেও এখনও পর্যন্ত এনডিএ আনুষ্ঠানিক ভাবে নীতীশকে ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করেনি।

বিরোধী জোটে আরজেডি, কংগ্রেস এবং তিন বাম দলের (সিপিআইএমএল লিবারেশন, সিপিএম এবং সিপিআই)-এর পাশাপাশি মাল্লা জনগোষ্ঠীর নেতা মুকেশ সহানীর বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি) এবং প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ গুপ্তের ‘ইন্ডিয়ান ইনক্লুসিভ পার্টি’ (আইআইপি)। ১৭ শতাংশ মুসলিম এবং ১৩ শতাংশ যাদব ভোট মাল্লা জনগোষ্ঠীর আড়াই শতাংশ ভোটের বড় অংশই মহাগঠবন্ধনের ঝুলিতে যাবে বলে বিরোধী শিবিরের দাবি। তবে পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া সীমাঞ্চল এলাকায় গত বারের মতোই আরজেডি-কংগ্রেসের মুসলিম ভোটে হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি দল তথা মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) ভাগ বসাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্য দিকে এনডিএর ভরসা, বিজেপির উচ্চবর্ণ, নীতীশের অতি অনগ্রসর (ইবিসি), চিরাগ-জিতনরামের দলিত ও মহাদলিত এবং উপেন্দ্রের কইরি-কুশওয়াহা (অ-যাদব অনগ্রসর) ভোট। প্রথম দফায় ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৭৫ লক্ষেরও বেশি। দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) হয়েছে এ বার। আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় তথা শেষ দফায় ১২২টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে মগধভূমে। গণনা আগামী ১৪ নভেম্বর।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন