ওয়াকফ হিংসায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন নেতাজি ইন্ডোরে ইমাম-মোয়াজ্জেনদের সঙ্গে বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দফায় দফায় সুর চড়ান বিএসএফের বিরুদ্ধে। সাফ বলেন, “বিএসএফও গুলি চালিয়েছে, তার বিরুদ্ধেও অ্যাকশন হবে। চিক সেক্রেটারিকে বলছে এর তদন্ত রিপোর্ট হওয়া উচিত। শীতলকুচিতেও গুলি চালিয়ে এরা চারজনকে মেরেছিল।” গোটা ঘটনার নেপথ্যে সুর থেকেই চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে তৃণমূল। এদিন মমতার মুখেও শোনা গেল সেই কথা। প্রয়োজনের তদন্তও হবে, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মমতা। পাল্টা এনআইএ তদন্তের দাবি তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শুভেন্দুর সাফ কথা, এনআইএ তদন্ত হলেই আসল রহস্য সামনে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: ‘দিনহাটার মানুষদের বিশ্বাস করি না’, ‘ভয়’ কুরে কুরে খাচ্ছে মন্ত্রী উদয়নকে
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ কাণ্ডে বারবারই উঠে এসেছে ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব। বাইরে থেকে অচেনা লোকেরা এসেই হামলা চালিয়ে চলে গিয়েছে। বিগত কয়েকদিন ধরে বারবার এ ধরনের কথা শোনা গিয়েছে নানা মহলে। এদিন নেতাজি ইন্ডোর থেকে মমতা বলেন, “আমি অনেক ভিডিয়ো দেখেছি। লোকাল লোকেরা আমাকে পাঠিয়েছে। বলছে, আমরা হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে থাকি বাইরে থেকে বিএসএফের মতো ড্রেস পরে চলে এসেছে পায়ে জুতো নান পরে নন্দীগ্রাম কায়দায়। আসল ঘটনা কী তদন্ত করে দেখব।” পাল্টা এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, “এই জন্যই তো এনআইএ চাই। প্রমাণ হয়ে যাবে কে করেছে। ধুলিয়ানের চেয়ারম্যান, সামশেরগঞ্জের বিধায়ক, ফারাক্কার বিধায়কের দাদা, এরা কী করেছে আমরা ভিডিয়ো দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছি।”
আরও পড়ুন: মানুষের মুন্ডু নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুর, নজরে আসতেই শিউরে উঠলেন হুগলী চণ্ডীতলার মানুষ
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ‘চক্রান্তের’ কথা শোন গিয়েছিল কুণাল ঘোষের মুখেও। ক্ষোভ উগরে দেন বিএসএফের ভূমিকা নিয়েও। সাফ বলেছিলেন ‘বিএসএফের একাংশের মদতেই হামলাকারীদের ঢুকিয়ে বাংলায় অশান্তি পাকানো হচ্ছে’। নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন, “গায়ে সেনার পোশাক পায়ে হাওয়াই চপ্পল কী করে হতে পারে? এগুলো আমরা নন্দীগ্রামে দেখেছি। পুলিশ পায়ে চটি পরে গুলি চালাচ্ছে। কারা ছিল? হার্মাদ বাহিনী ছিল। সিপিএম ক্যাডাররা ছিল। ওখানে চটি পরা পুলিশ, এখানে চটি পরা বিএসএফ! সত্যিই বিএসএফ তো? আমরা তদন্ত চাইতে পারি না?” এবার মমতার মনেও বিএসএফ নিয়ে সন্দেহ দানা বাধায় তা নিয়ে জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত টানাপোড়েনের জল কোনদিকে গড়ায়।