একটা শব্দবন্ধ, ‘স্মার্টমিটার’! আর যা এখন চাল-নুন কেনার গার্হস্থ্য অনুশাসনে মূল মাথাব্যথার কারণ। স্মার্টমিটার, অর্থ, ‘টোটেক্স মডেলে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার’। এই মিটার নিয়ে বাংলার গ্রামাঞ্চলে তোলপাড়। প্রতিদিনই বিদ্যুৎ দফতরে গ্রাহকদের বিক্ষোভ, নানা ধোঁয়াশা, একাধিক প্রশ্নের না পাওয়া উত্তর, আর বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের অসহায়তার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, রাজ্য কেন স্মার্ট মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে? বিতর্ক কোন জায়গায়?
স্মার্ট মিটারের উৎপত্তি
২০২২ সালে কেন্দ্রের সরকার একটি নতুন স্কিম নিয়ে আসে, দেশের বিদ্যুৎ বণ্টন পরিষেবাকে রিফর্ম করার জন্য। রিভ্যাম রিডিস্ট্রিবিউশন সেক্টর স্কিম। আরডিএসএস। এই স্কিমের অনেকগুলোর কাজের মধ্যে একটা হল, দেশের ২৬ কোটি গ্রাহকের ঘরের মিটার বদলে ফেলতে হবে। কিন্তু অবাকের বিষয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার আগেই ২০২১ সালে ৯ জুলাই স্মার্ট মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্মার্ট মিটার কী?
এখন আর কারোর বাড়িতেই কাটাওয়ালা মিটার নেই। অ্যানালগ মিটার। এখন সবার বাড়িতেই নম্বর আসে অর্থাৎ ডিজিট্যাল মিটার। কিন্তু স্মার্ট মিটার হল একটি আধুনিক মিটার, যা ‘প্রিপেইড মোডে’ কাজ করে। অর্থাৎ গ্রাহককে আগে থেকে রিচার্জ করতে হবে, তারপর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন পাঁচশো টাকার রিচার্জ করলে, গ্রাহক পাঁচশো টাকারই বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। যেমনটা আরকী মোবাইলে প্রিপেড সিস্টেমে হয়!
আরও পড়ুন: কেকের আবার রসমালাই! কেক তৈরি হচ্ছে কিউই ফুল দিয়ে
সাধারণ মিটারের সঙ্গে স্মার্ট মিটারের পার্থক্য কোথায়?
প্রথমত: ডিজিট্যাল মিটারে থাকে রিডিং পদ্ধতি। অর্থাৎ এখন আমাদের বাড়িতে যে ধরনের মিটার লাগানো রয়েছে, তাতে মাসে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা এসে রিডিং নিয়ে যান। কিন্তু স্মার্ট মিটারের ক্ষেত্রে তেমনটা হবে না। স্মার্ট মিটারে তথ্য সরাসরি যাবে সার্ভারে।
দ্বিতীয়ত: এই দুই ধরনের মিটারে বিলিং পদ্ধতিতেও ফারাক রয়েছে। ডিজিট্যাল মিটারে পোস্টপেইড বিল আসে। অর্থাৎ গ্রাহক যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করবে, তার ভিত্তিতে বিল আসবে। কিন্তু স্মার্ট মিটারে প্রিপেইড সিস্টেমে বিল আসবে। অর্থাৎ আগে গ্রাহককে রিচার্জ করতে হবে, তার ভিত্তিতে তিনি বিদ্যুৎ খরচ করতে পারবেন।
তৃতীয়ত: ডিজিট্যাল মিটারের ক্ষেত্রে, কোনও গ্রাহক যদি বিদ্যুৎ বিল মেটাতে অক্ষম হন, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা বাড়ি গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। কিন্তু স্মার্ট মিটারের ক্ষেত্রে রিচার্জ শেষ হয়ে গেলেই আপনাআপনি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
প্রকল্পের বাস্তবায়ন
জানা যাচ্ছে, প্রথম ধাপে সরকারি অফিস, পুরসভা, পঞ্চায়েতে বসানো হচ্ছে স্মার্ট মিটার। শিল্প ও বাণিজ্যিক সংযোগের পর পর্যায়ক্রমে সাধারণ গ্রাহকদের মিটার বদলের লক্ষ্য। সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ দফতরের পরিকল্পনা, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ স্মার্ট মিটার বসানো হবে। বাংলার ক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলে পৌরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকাগুলোতে মূলত স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। আর তাতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দেখা যাচ্ছে গ্রাহকদের বিক্ষোভ।
গ্রাহকদের অভিযোগ
গ্রাহকদের মূলত বক্তব্য, স্মার্ট মিটার কী, তা তাঁদেরকে সেভাবে না বুঝিয়েই কার্যত জোর করে বাড়িতে বসানো হচ্ছে। এমনকি এমনও অভিযোগ উঠছে, স্মার্ট মিটার না বসালে বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকবে না। স্মার্ট মিটার অনেকে বসিয়ে তো নিচ্ছেন, কিন্তু তাতে রিডিংয়ের ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। বর্ধমান, আসানসোল. দুর্গাপুরের মতো একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ দফতরে গ্রাহকরা গিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, স্মার্ট মিটার খুলে তাঁদের পুরনো মিটারই লাগিয়ে দিতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রেও বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজার কার্যত অসহায়! কিছু জায়গায় মিটার বিকল হলে সেই দায়ও গ্রাহকদের ঘাড়ে চাপছে। বাড়তি খরচ হচ্ছে মিটার বদল বা সারাইয়ে।
আরও পড়ুন: কেরলের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর সম্পত্তির পরিমাণ চমকপ্রদ
আগাম না জানিয়েই পরিবর্তন:
গ্রাহকদের অভিযোগ, হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা আসছেন, আগাম কোনও খবর ছাড়াই মত না নিয়েই মিটার পরিবর্তন করে দিয়ে যাচ্ছেন। এরকম একাধিক ঘটনা ঘটেছে বর্ধমানে। বর্ধমানের এক গ্রাহক বলেন, “আমি বাড়িতে ছিলাম না, আমার স্ত্রী-মেয়ে ছিল। হঠাৎই এসেই মিটার বদলে দিয়ে চলে গেল। আমি বাড়ি এসে খবর পাই। আমার প্রতিবেশীরা কেউই মিটার বদলাতে চাননি।”
জরিমানার ভয়: গ্রাহকদের অভিযোগ, মিটার না বসালে ফাইন হয়ে যাওয়ারও ভয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু এই মিটার কীভাবে কাজ করবে, কীভাবে রিচার্জ করা হবে, সেই সংক্রান্ত কোনও অ্যাপ কিছুই ফোনে ডাউনলোড করিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবে গোটা প্রক্রিয়া সম্পর্কে একেবারেই অন্ধকারে গ্রাহকরা। এক গ্রাহকের কথায়, “আমরা কীভাবে রিচার্জ করব, সেটাও জানানো হয়নি, মিটারটা বসিয়ে দিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা পুরনো মিটারের নম্বর নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়েছিলাম, কিন্তু সেখান থেকেও পরিস্কারভাবে কিছু বলা হচ্ছে না।”
বিদ্যুতের বিল বেশি আসছে:
গ্রাহকদের অভিযোগ, পুরনো মিটারের বদলে নতুন মিটারে বিদ্যুতের বিল বেশি আসছে। বর্ধমানেরই বাসিন্দা অশোক কর্মকার। তিনি মূলত ট্রেনে হকারি করেন। তাঁর বাড়িতে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে স্মার্ট মিটার। TV9 বাংলা কথা বলেছিল তাঁর সঙ্গে। তাঁর সরাসরি অভিযোগ, “আমার ভীষণই অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের বিল বেশি আসছে। আমার ঘরে ফ্যান রয়েছে একটা, আর একটা টিভি রয়েছে। ফ্রিজও নেই। যেখানে আগে একমাসে ৫০০-৬০০ টাকা বিল আসত, সেখানে এখন বিল ৮০০-৯০০টাকা আসছে। পুরনো মিটারের রিডিং না দিয়েই চলে গিয়েছে। নতুন মিটারে এখনই এই বিল এসেছে।” উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত কোনও বিল আসেনি গ্রাহকদের কাছে। তবে গ্রাহকদের অভিযোগ, নতুন মিটারে রিডিং বেশি পুড়ছে। ফলে বিল স্বাভাবিকভাবেই বেশি হবে।
অ্যাপ নিয়ে অস্বচ্ছতা:
গ্রাহকরা এই গোটা প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভীষণভাবে অন্ধকারে। বর্ধমান, মেদিনীপুরের বেশ কয়েকজনের বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো হয়েছে। কিন্তু কীভাবে এই মিটার কাজ করবে, কীভাবে রিচার্জই বা করবেন তাঁরা কিচ্ছু জানানো হয়নি। এক গ্রাহকের কথায়, “শুধু মিটারটা বসিয়ে দিয়েই চলে গেল। কিচ্ছু বোঝায়নি ওরা। কীভাবে কাজ করবে, টাকাই বা ভরবো কীভাবে, তা তো জানি না। কোনও অ্যাপও দেয়নি।”
বিদ্যুৎ দফতরের অসহযোগিতার অভিযোগ:
সমস্যায় পড়লে জানানোর জায়গাই থাকছে না, তেমনই বলছেন গ্রাহকরা। প্রিপেইড সিস্টেমে টাকা জমা দেবেন কীভাবে? কোনও সমস্যা হলে, গ্রাহকরা জানাবেন কোথায়? বিদ্যুৎ দফতরে গেলে মিলছে না উত্তর। এহেন একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে সাম্প্রতিকভাবে। একাধিক জেলায় বিদ্যুৎ দফতরে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন গ্রাহকরা। বর্ধমানের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাকারমাঠের এক গ্রাহক বললেন, “আমরা বিদ্যুৎ অফিসে গিয়েছিলাম। স্যর বললেন, আমরা কিছু জানি না। আমাদের উপরতলার আধিকারিকরা জানেন। আমরা এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। যা বলা হচ্ছে, তাই করছি।” উল্লেখ্য, ওই এলাকার ৩২টি বাড়িতে মিটার পাল্টেছে, প্রত্যেকেই একই অভিযোগ। এমনকি গ্রাহকদের এও অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতর থেকে লোক এসে তাঁদের সমস্যা মেটানোর কোনও আশ্বাসও দিচ্ছেন না।
এ প্রসঙ্গে ‘অল বেঙ্গল ইলেক্ট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর জেনারেল সেক্রেটারি সুব্রত বিশ্বাসও বেশ কিছু অসুবিধার কথা বলেন। তাঁরও প্রশ্ন, “প্রত্যন্ত গ্রামের ক্ষেত্রে কি গ্রাহকরা আদৌ মেসেজ দেখে রিচার্জ করতে পারবেন?” তাঁর মতে, এই গোটা প্রক্রিয়ায় হ্যাকিংয়েরও ভয় রয়েছে। তিনি বলেন, “এই স্মার্ট মিটার ডাটা ট্র্যান্সমিশন সিস্টেমের মাধ্য়মে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কন্ট্রোলে পরিবাহিত হবে। যে কেউ ভারতের যে কোনও জায়গায় বসে সফটওয়্যারকে হ্যাক করে মিটারের রিডিংকে পরিবর্তন করে দিতে পারে।”
স্মার্ট মিটারে সুবিধা কী?
গ্রাহকদের হাতের মুঠোয় রিডিং:
ডিজিট্যাল মিটারে রিডিং কতটা হচ্ছে, সেটা গ্রাহকরা মিটারের কাছে গিয়ে দেখতে পেতেন। এই মিটারে, গ্রাহক অ্যাপসেই গোটা বিষয়টি দেখে নিতে পারবেন। দুটো ক্ষেত্রেই বিষয়টা এক। তবে স্মার্ট মিটারের ক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছে ‘কমিউনিকেশন সিস্টেমটা’ খুব সহজ হবে। অ্যাপসেই তিনি জানতে পারবেন, কতটা বিদ্যুৎ পোড়ালেন। ডেটা ফোনেই আসবে। TV 9 বাংলা কথা বলেছিল বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিক গৌতম দত্তের সঙ্গে। তিনি বললেন, ” বিদ্যুৎ কতটা পোড়ালেন, গ্রাহকের হাতের মুঠোয় থাকবে গোটা তথ্য। সেই বুঝে বিদ্যুৎ খরচ করবেন।”
পরিস্থিতি নিজেই বুঝে বিদ্যুৎ খরচ:
অনেক ক্ষেত্রে বাড়িতে দেখা যায়, বিদ্যুৎ সংযোগে যে পরিমাণ লোড দেওয়া হয়, তার থেকে বেশি লোডের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ফেলছেন গ্রাহক। দফতর থেকে তখন সেই গ্রাহককে সতর্ক করা হয়। কিন্তু স্মার্ট মিটার থাকলে, গ্রাহক গ্রাফিক্যালি বুঝতে পারবেন, কতটা তাঁর লোড নেওয়া রয়েছে, কতটা খরচ হচ্ছে। ইচ্ছা করলে, গ্রাহক নিজেই লোড কমিয়ে নিতে পারবেন, বাড়িয়েও নিতে পারবেন।
আপাতত পোস্ট পেইড মোডেই আসবে বিল, পাবেন অতিরিক্ত ছাড়ও:
পোস্ট পেইড থেকে প্রিপেইড মোড! যত গোল বাঁধছে এখানেই। তবে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক জানাচ্ছেন, প্রাথমিকভাবে এই সিস্টেমকে পোস্ট পেইড মোডেই চালু করা হচ্ছে। যাতে গ্রাহকের অসুবিধা না হয়। পোস্ট পেইড মোডে, যেমন গ্রাহক এমন বিদ্যুতের বিল জমা করেন, তেমনই করবেন। প্রি পেইড যখন হবে, তখন কিছুটা পরিবর্তন হবে? কেমন? আধিকারিক গৌতম দত্তের কথায়, ” ধরুন আপনার বিল আসে ২০০ টাকা, এটাই যখন প্রি পেইডে একেবারে রিচার্জ করছেন, তখন তিন শতাংশ ছাড় পাবেন। এখনকার ক্ষেত্রে একবারে বিদ্যুতের বিল মেটালে এক শতাংশ ছাড় পাওয়া যায়।”
আরও পড়ুন: ভারতকে সতর্ক করল আমেরিকা; বড়সড় আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন
অগ্রিম মেটাতেও লাগবে না EMI:
আরেকটা সুবিধা, যদি কিছু বাকি থাকে, তাহলে তিন বারের ধাপে ভাগ হবে। ধরুন কোনও গ্রাহকের ৬০০০টাকা বাকি রয়েছে, তাহলে তিন মাসে ২ হাজার করে দিতে হবে। তবে এর জন্য কোনও ইএমআই দিতে লাগবে না। সিকিউরিটি ফি যেটা জমা থাকে, সেটাও অ্যাপে ওয়ালেটে চলে আসবে। আমাদের ৬ শতাংশ করে সিকিউরিটি থাকে। সিকিউরিটি মানে, গ্রাহকের তিন মাসের বিল একটা ‘অ্য়াভারেজ’ ধরে অগ্রিম রাখতে হয়। এক্ষেত্রে গ্রাহক সেই টাকা ওয়ালেটে ফেরতও পাবেন।
অভিযোগ জানানোর জায়গা:
বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকের কথায়, গ্রাহকরা আসলে এখনই বুঝতে পারছেন না। এটা মিটারই, আলাদা কোনও ব্যাপার নেই। মিটার লাগানোর সমস্যায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এখন অ্যাপ নয়, গ্রাহকদের হাতে আপাতত লিফলেট দেওয়া হচ্ছে। সেখানে বিস্তারিত লেখা থাকছে। অ্যাপস তো এখনই পুরোপুরি লাগছে না। এখন পোস্টপেইড মোডেই চলবে, প্রিপেইড মোডে হলে অ্যাপস দেওয়া হবে। তখনই গ্রাহককে সে বিষয়ে বোঝানো হবে। সমস্যা হলে কাস্টোমার কেয়ার নম্বরে যোগাযোগ করলেই সমস্যা মিটবে। আলাদা টিমও রয়েছে।
স্মার্ট মিটার লাগানোর প্রতিবাদ
এই স্মার্ট মিটারের প্রতিবাদেই অনেকে আন্দোলনে নেমেছেন। নেতৃত্ব দিচ্ছে সিটুও। প্রতিবাদ জারি রেখেছে ‘অল বেঙ্গল ইলেক্ট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন’। ABECA-র সেক্রেটারি সুব্রত বিশ্বাসের মতে অসুবিধা একাধিক জায়গায়। ২০২২ সালে কেন্দ্রের সরকার একটি নতুন স্কিম নিয়ে আসে, দেশের বিদ্যুৎ বণ্টন পরিষেবাকে রিফর্ম করার জন্য। ‘রিভ্যাম রিডিস্ট্রিবিউশন সেক্টর স্কিম’ অর্থাৎ আরডিএসএস। আর এই বিষয়টি উল্লেখ করতে গিয়েই সুব্রত বিশ্বাস বলেন, “অবাকের বিষয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রের আগেই ২০২১ সালে ৯ জুলাই স্মার্ট মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এতে বিদ্যুৎ পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে বেসরকারিকরণের প্রয়াস চলছে।”
রাজ্যের অবস্থান
বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন TV9 বাংলার প্রতিনিধি। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, এখনই গোটা বিষয়টি প্রাথমিকস্তরের চিন্তাভাবনায় রয়েছে। স্মার্ট মিটার যে লাগবেই, তা নিয়ে এখনই সরকার কিছু ভাবছে না।